ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দল বদলের নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশের শীর্ষ স্থানীয় সব ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এটাকে চমক হিসাবে আখ্যা দিয়ে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানিয়েছেন এরকম চুক্তিতে কোন সমস্য নেই; বরং এটিই ডিপিএলের মজা।
ডিপিএলের পরবর্তী আসর মাঠে গড়াবে আগামী বছরের মার্চে। এই টুর্নামেন্টের দল বদলের জন্য নির্ধারণ করা আছে আলাদা সময়ও। তবে এর আগেই মোহামেডানের দল গঠনও প্রায় শেষের দিকে। গত বছর সাকিব আল হাসানকে দলে নিয়েছে মোহামেডান। এই অলরাউন্ডারকে রেখেই ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি এবার চুক্তি করেছে জাতীয় দলের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারের সাথে।
এই তালিকায় রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের মত তারকা ক্রিকেটাররা। এই চুক্তির ফলে ফলে জাতীয় দলের চার সিনিয়র ক্রিকেটারের তিন জনই খেলবেন এক ক্লাবের হয়ে।
নির্ধারিত সময়ের আগে মোহামেডানের দল গঠন করা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হলেও এটিকেই চমক বলছেন সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন এরকম চুক্তিতে কোন সমস্য নেই। যে কোন ক্রিকেটার সরাসরি চুক্তি করতে পারবে দল গুলোর সাথে।
তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাদের বোর্ড সভাপতি ঠিক করে দিয়েছিলেন খেলোয়াড়রা সরাসরি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে দলের সঙ্গে। যেহেতু গত বছর এটা ছিল, তাই সামনের বছরও এই নিয়মই থাকবে। আর এটাকেই আমি বলবো আমাদের প্রিমিয়ার ডিভিশনের একটা চমক এবং মজা।’
বেশ কয়েক বছর আগেই ডিপিএলে প্লেয়ার্স ড্রাফট পদ্ধতি উঠে গেছে। যার কারণে নিজেদের ইচ্ছে মতো ক্লাব গুলোর সাথে চুক্তি করতে পারছেন ক্রিকেটাররা। ক্লাব গুলোও নিজেদের ইচ্ছে মতই ক্রিকেটারদের দলে ভিড়াচ্ছে। ইনাম জানিয়েছে এজন্যই কোন সমস্যা নেই। এখন চুক্তি করে রাখলেও পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাবে মোহামেডান।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর লিগ বছরের একেক সময়ে হয়। কবে লিগ হবে এটা জানার আগেই উৎসবের আমেজ তৈরি হয়ে যায়। অন্যা দলও খেলোয়াড় দলে নিচ্ছে। মোহামেডান এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তি করেনি। দল বদলের সময় আমরা যখন ঘোষণা করবো, তখন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয় গুলো চূড়ান্ত করবে। এখন তারা যেভাবে করেছে তাতে কোনো সমস্যা নেই।’