বিশাখাপটনের ফ্ল্যাট উইকেট। ২০৯ রান তাঁড়া করা খুবই সম্ভব ছিল। কিন্তু, দিল্লী ক্যাপিটালস গোল বাঁধায় শুরুতেই। মাত্র সাত রানে তিন উইকেট হারানোর পর তো মাথা তুলে দাঁড়ানো কঠিন। সেই কঠিন কাজটাও প্রায় করে ফেলেছিলেন ভিপরাজ নিগাম ও আশুতোষ শর্মা।
উইকেট হাতে নেই। এই অবস্থায় থেকে এক অসম্ভব লক্ষ্যের পথে ছুটছিলেন তাঁরা দু’জন। ভিপরাজ ১৫ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান। তখন লক্ষ্যটা আরও কঠিন, কারণ আশুতোষের সাথে অপর প্রান্তে কেউ নেই।
১৮ তম ওভারের শেষ তিন বলে তিনি দুই ছক্কা আর একটি চার হাকালেন। শেষ দুই ওভারে জিততে হলে করতে হবে ২২ রান। হাতে দুই উইকেট। ম্যাচটা জমে গেল সেখানেই। ১৯ তম ওভারের শুরুতেই একটা চার আর দুই ডট, সাথে রান আউট কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু, আশুতোষ তখনও ছিলেন। স্ট্রাইকে তিনিই। শেষ তিন বল থেকে তিনি নিলেন ১২ রান। একটি করে চার, ছক্কা আর ডাবলের সুবাদে।
শেষ ওভারে জিততে দরকার মাত্র ছয় রান। সমস্যা হল, হাতে আছে মাত্র একটা উইকেট। শেষ ওভারের প্রথম বলেই মোহিত শর্মা এগিয়ে এসে বলে টোকা মারতে গেলেন, ব্যাটে বলে সংযোগ হল না। স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করলেন ঋষাভ পান্ত। এলবিডব্লিউয়ের রিভিউ নিলেও লাভ হল না। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিতে পারলেন মোহিত শর্মা।
চার বলে জয়ের জন্য দরকার পাঁচ রান। শাহবাজ আহমেদকে ছক্কা হাঁকালেন, সোজা মাথার ওপর দিয়ে। লং অফে বলটা আছড়ে পরতেই নিশ্চিত হল জয়। অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ ফিনিশিংয়ের নিদর্শন গড়লেন, সাত রান তিন উইকেট হারানো দিল্লী তিন বল হাতে রেখে জিতল এক উইকেটে। ৩১ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচের নায়ক অবশ্যই আশুতোষ, এমন ইনিংসের দেখা রোজ রোজ মেলে না।