সাকিবকে আড়ালে রেখে লাহোরের কাণ্ড

এক ওভার বোলিং করলেন, চার রান দিলেন! একটা উইকেট পেলেন, ফিরিয়ে দিলেন জেমস ভিন্সকে। কিন্তু, সেই সপ্তম ওভারের পর সাকিব আল হাসানের আর ডাকই আসল না। আর নিজেদের কৌশলে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হল লাহোর কালান্দার্সের পরিকল্পনা।

এক ওভার বোলিং করলেন, চার রান দিলেন! একটা উইকেট পেলেন, ফিরিয়ে দিলেন জেমস ভিন্সকে। কিন্তু, সেই সপ্তম ওভারের পর সাকিব আল হাসানের আর ডাকই আসল না। আর নিজেদের কৌশলে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হল লাহোর কালান্দার্সের পরিকল্পনা।

ধারাভাষ্যে বসে অনৈতিক যোগসাজশের গন্ধও বারবার খুঁজে পেলেন পাকিস্তানি গ্রেট ওয়াসিম আকরাম। ফিক্সিং হচ্ছে? – এমন প্রশ্ন তোলার লোকেরও অভাব ছিল না। সাকিব আল হাসানের জায়গা শাহীন শাহ আফ্রিদি ভরসা রাখলেন মোহাম্মদ নাঈমের ওপর, যিনি চলতি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আগে বলই হাতে নেননি। এমনকি গোটা পেশাদার ক্যারিয়ারে তিনি এর আগে বোলিং করেছেন মাত্র ৫.২ ওভার।

সাকিব আল হাসানের বাকি থাকা তিনটি ওভারই নাঈম করলেন, হাফ সেঞ্চুরি করা ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দিলেন। তবে, এর আগে তিনি দুবার ডেভিড ওয়ার্নারের শিশুতোষ ক্যাচ মিস করেছেন। পুরো লাহোর কালান্দার্স দল, বিশেষ করে লাহোর কালান্দার্স দলের পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ফিল্ডিং মিসের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। এমনকি শেষ বলেও লং অনের এক রানকে বাউন্ডারি বানিয়ে দেন আসিফ আলী। করাচি কিংসকে যেখানে ১৬০-এর মধ্যে আটকে ফেলা যেত – সেখানে তাঁরা তোলে ১৯০ রান।

দলটিতে একমাত্র ভিনদেশি বোলার ছিলেন ছিলেন সাকিব। মানে, ১৯ টা ওভারই শাহীন শাহ করিয়েছেন দেশি বোলারদের দিয়ে। সেই বোলাররা মিলে ১২ টা ওয়াইড আর চারটি নো-বল দিয়েছেন। ওয়াসিম আকরাম এক পর্যায়ে বলেই ফেলেন, ‘কারও মধ্যে কোনো পেশাদারিত্ব নেই। কি ক্যাজুয়ালি সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটেও এসব মানা যায় না!’ কি বোঝাতে চাচ্ছিলেন ওয়াসিম আকরাম সেটা বুঝতে বিরাট কোনো পণ্ডিত হওয়ার দরকার পরে না।

Share via
Copy link