সোনালি ত্রয়ীর গোধূলি লগ্ন

পাকিস্তানের তিন মহারথীর এই ছন্দপতন যেন দীর্ঘায়িত হয়ে যাচ্ছে। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান আর শাহীন শাহ আফ্রিদি—যাদের হাত ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটের আধুনিক রূপকথা লেখা হয়েছিল, সেই তারকারাই কি আজ পথহারা! অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসে সেটাই প্রমাণিত হল।

সময় বদলায়, ফর্মের উত্থান-পতনও অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু পাকিস্তানের তিন মহারথীর এই ছন্দপতন যেন দীর্ঘায়িত হয়ে যাচ্ছে। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান আর শাহীন শাহ আফ্রিদি—যাদের হাত ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটের আধুনিক রূপকথা লেখা হয়েছিল, সেই তারকারাই কি আজ পথহারা! অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসে সেটাই প্রমাণিত হল।

তিনজনই খেলেছেন নিজেদের ছায়া হয়ে। প্রথম দুই ম্যাচে তাঁরা ছিলেন বিবর্ণ। আর তাঁদের এই বিবর্ণতাই পাকিস্তানতে ছিটকে ফেলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। নিজেদের দেশে আয়োজিত আইসিসি ইভেন্টে প্রথম পর্বেই বাদ পাকিস্তান।

বাবর দুই ম্যাচে ৮৭ রান করেছেন, মাত্র ৭৫ স্ট্রাইক রেটে। রিজওয়ান করেছেন ৪৯ রান। তাঁরা স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৫৩.৮৫। তাঁদের এই শ্লথ ব্যাটিং পাকিস্তানকে ছিটকে ফেলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। শাহীনও বোলিং আক্রমণের নেতা হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি দুই ম্যাচে পেয়েছেন দুই উইকেট। স্ট্রাইক রেট ৫৪!

সংখ্যাগুলোই বলছে, ব্যাটে-বলে ধার নেই। বাবর আজম শেষবার সেঞ্চুরি করেছেন ২০২৩ সালের আগস্টে। তার ব্যাটে রান থাকলেও, সেটির ওজন কমছে দিন দিন। স্ট্রাইক-রেট যেভাবে নিচে নামছে, তাতে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য—তিনি কি এখনও দলের সেরা ভরসা?

শাহীন আফ্রিদির গল্পটাও তেমনই। এক সময় নতুন বলে আগুন ঝরানো এই পেসারের ভয়ঙ্কর রূপ যেন হারিয়ে গেছে। গত কিছু মাস ধরে তিনি ধারাবাহিকভাবে বিবর্ণ। পুরোনো সেই সুইং, পেস আর আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষার অনেকটাই অনুপস্থিত।

এদিকে, রিজওয়ান তুলনামূলক ভালো অধিনায়কত্ব করলেও, ব্যাট হাতে তার স্ট্রাইক-রেটও প্রশ্ন তুলছে। তাঁর ভূমিকা নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের জ্বালা কমানোর বদলে, তিনি সেটিকে আরও গভীর করে দিচ্ছেন কি না, সেটিও ভাববার বিষয়।

Share via
Copy link