একটুখানি আলোর নাম — সাদমান ইসলাম

সেই আলাদা হয়ে ওঠাটা আরেকটু মোক্ষম হল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সাদমানই এখন বাংলাদেশের ওপেনারদের নেতা। পরিসংখ্যান সেই কথা না বললেও অভিজ্ঞতা সেই কথাই বলে। পরিসংখ্যানেও অভিজ্ঞ হতে বড় বড় ইনিংস দরকার সাদমানের। সেই বড় হওয়া প্রক্রিয়ারই শুরু হয়ে থাকুক চট্টগ্রামের এই ইনিংস।

রিচার্ড এনগারাভার ফুল লেন্থ বল, অফ স্টাম্পের বাইরেই। ব্যাটটা একটু পেছন থেকে সামনে টেনে এনে শট খেললেন শাদমান ইসলাম। বল গেল কাভারের ফাঁক গলে, এক নি:শ্বাসে চার! আর সেই চারেই শতক!

সাদমান ইসলামের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। আবারও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেই। তবে এটুকু সংখ্যায় আটকে রাখলে ভুল হবে। কারণ এই ইনিংসের মানে অনেক বড়। এটা তাঁর প্রথম শতক দেশের মাটিতে। নিজের মাটিতে, নিজের বাতাসে, নিজের মতো করে লেখা এক নি:শব্দ আত্মপ্রকাশ।

দীপ্তিময়, নিখাঁদ ও সুন্দর। শটটা তার চেয়েও সুন্দর। পিচড আপ ডেলিভারির বিপরীতে শাদমানের শরীরটা একটু সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল, যেন বলটাকে আদর করে বেছে নিতে চাচ্ছেন কোথায় ছোঁয়াবেন। কাভার ফিল্ডারের পাশ দিয়ে বল গড়াতে শুরু করল, আর গ্যালারিতে উঠে এলো চাপা আনন্দের ঢেউ।

হেলমেট খুলে দাঁড়িয়ে রইলেন সাদমান। গ্যালারির শ্রদ্ধা, সতীর্থদের হাততালি — এই স্বীকৃতিটা দরকার ছিল সাদমানের। গত দুইটা বছর বাংলাদেশের ওপেনাররা রান করতে পারেননি একদমই। কেবল সাদমানই ইসলামই বাকি দু’জনের চেয়ে এক্ষেত্রে ছিলেন একটু আলাদা।

সেই আলাদা হয়ে ওঠাটা আরেকটু মোক্ষম হল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সাদমানই এখন বাংলাদেশের ওপেনারদের নেতা। পরিসংখ্যান সেই কথা না বললেও অভিজ্ঞতা সেই কথাই বলে। পরিসংখ্যানেও অভিজ্ঞ হতে বড় বড় ইনিংস দরকার সাদমানের। সেই বড় হওয়া প্রক্রিয়ারই শুরু হয়ে থাকুক চট্টগ্রামের এই ইনিংস।

Share via
Copy link