ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের পর থেকে একটা পুরনো ইস্যু নতুনভাবে ফিরে এসেছে মার্কেটে- লিটন দাসের রান করতে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান লাগে, টপ টিমের বিপক্ষে সে কিছুই করতে পারে না। বক্তব্যের সাপোর্টিং হিসেবে রয়েছে টকটকে স্ট্যাট।
যে কোনো এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি যখন পারফর্ম করবেন মার্কেট আপনার, রাতারাতি জুটে যাবে অজস্র ফ্যান। পারফর্ম করতে পারবেন না, চারদিক থেকে শেলের মতো ছুটে আসবে তীর্যক সমালোচনা, সেখানে কোনো পরিমিতির থাকবে না বালাই।
এই নিষ্ঠুর নিয়তি মেনেই এন্টারটেইনার হতে হয়, মানতে না পারলে তার জন্য ধরাবাঁধা চাকরি করেই জীবন কাটানো নিয়ম, যেখানে সুনির্দিষ্ট কিছু মানুষের বাইরে তার কখনো ইন্টারেকশনই হবে না।
তাই ভারত এবং ইংল্যান্ডের মতো দুটো হেভিওয়েট টিমের বিপক্ষে পিঠাপিঠি দুই সিরিজ গেল, লিটন ন্যূনতম একটা ফিফটি পেল না, এটা অমার্জনীয় ব্যর্থতা, দল এবং সমর্থক কারো পক্ষেই এটা এফোর্ডেবল নয়। হতাশার বহি:প্রকাশ নানাভাবেই হতে পারে।
কিন্তু আমি যে স্পেসিফিক স্পেকুলেশন নিয়ে কথা বলছি তার ইন্টারপ্রেটেশন হল – ‘কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে রান করার সামর্থ্য লিটনের নেই, সে ছোটদলের যম’।এই সার্কুলেশনের মোটিভ কী হতে পারে? লিটন কোনো ব্যাটসম্যানের পর্যায়েই পড়ে না বা বিলো এভারেজ তা প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া, অনেকটা প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করার মতো।
তামিম, মুশফিক বা সাকিবের ক্যারিয়ার অন্তিম পর্বে চলে এসেছে। এখন তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে পর্যালোচনা করে মন্তব্য করা যাবে কোন ধরনের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কার কেমন পারফরম্যান্স। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া বাদে প্রতিটি দলের বিপক্ষেই তাদের একটা মিনিমাম লেভেলের হলেও ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে।
লিটনকে নিয়ে এই মন্তব্য করার সময়ই এখনো আসেনি,,কারণ জিম্বাবুয়ে-উইন্ডিজ বাদে কোনো দলের বিপক্ষে সে ১০ টা ম্যাচও খেলেনি। এই ফ্যাক্ট আগেও শেয়ার করেছি।
সাউথ আফ্রিকার বাউন্সি কন্ডিশনে যে প্লেয়ার ৭০ করতে পারে, নিউজিল্যান্ডের দুরূহ কন্ডিশনে যে টানা ২ ম্যাচে ৮৬ এবং সেঞ্চুরি তুলতে পারে বা শাহীন আফ্রিদি-হাসান আলিদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে, সে যদি মিরপুরের মরা পিচে স্যাম কারান, ক্রিস ওক্স এর বল খেলতে না পারে সেটা সামর্থ্যহীনতা নয়, অন্য কোনো ইস্যু। সেই ইস্যুটা বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে।
লিটনের ব্যাটিংয়ে দুটো মেজর ফল্ট আমার চোখে পড়ে।
- ইনসুইং ডেলিভারিতে ভালনারেবল
- হঠাৎ লাফিয়ে উঠা বল নেগোশিয়েট করতে গেলে ক্লুলেস হয়ে পড়ে
একটা গুরুতর ইস্যু বাঁহাতি বোলিং ডিল করার ক্ষেত্রে। স্পিনার বা পেসার, যে ই হোক, বাঁ হাতে বোলিং করলে সে লিটনের জন্য পটেনশিয়াল থ্রেট। স্লোয়ার পিক করার ক্ষেত্রেও সে প্রায়ই মিসরিড করে, স্কয়ার কাট বা ড্রাইভ করতে গেলে অনেক সময়ই হাওয়ায় ভাসে, যে কারণে পয়েন্ট এবং গালি রিজিয়ন তার জন্য মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠে।
এইসব টেকনিকাল ইস্যুর মধ্যে ১টা কখনোই মেরামতযোগ্য নয়। ইনসুইং ডেলিভারিতে স্ট্রাগল করবে মেনে নিয়েই বাকি পথ এগুতে হবে। যেদিন দুর্ভাগ্য থাকবে সেদিন লিথ্যাল কোনো ইনসুইংগার চলে আসবে, আউট। পন্টিং, ইউসুফ, ইনজামাম, আজহার, জয়াবর্ধনের মতো ব্যাটিং লিজেন্ডরা ইনসুইংয়ের বিপক্ষে এই দুর্বলতা নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করেছেন, লিটনও করবে। সমস্যা কিছু নেই।
সমস্যা হলো ওয়ানডেতে সে কেন বড় দলকে চ্যালেঞ্জ জাগানো পারফরম্যান্স মাত্র একবার দেখাতে পারলো, সেই ফ্যাক্ট অনুসন্ধান।
আমি একদমই অবাক হব না যদি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টি২০ এর ২টাতেই লিটন স্যাম কারানের শিকার হয়।
এরকম স্পেসিফিক বোলারকেন্দ্রিক কিছু জটিলতা লিটনের প্রায়ই ঘটে। একসময় আফগানিস্তানের মুজিবের বিপক্ষে সে ছিল অতি প্রেডিক্টেবল। ভারতের মুহাম্মদ সিরাজ, শ্রীলংকার লাহিরু কুমারা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেন, নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, সাউথ আফ্রিকার তাবরেজ শামসি, পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ— এরা যখনই লিটনের বিপক্ষে বোলিং করবে, আপনি ধরে নিতে পারেন আউট হওয়ার চান্স তুলনামূলক বেড়ে গেল!
এটা কি টেকনিকাল সমস্যা? নাহ। মুজিবকে সর্বশেষ সিরিযে খুবই কনফিডেন্টলি খেলেছে লিটন, সে আর কখনোই তাকে ভোগাতে পারবে না। আউট হতে পারে, কিন্তু ভুগবে না।
বাঁহাতিদের ক্ষেত্রে এঙ্গেলজনিত সমস্যা সে কীভাবে দূর করবে জানি না। একটা ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ করা যেতে পারে যেখানে বিপক্ষ দলের ৫ বোলারের সবাই বাঁহাতি। পেসার হিসেবে মুস্তাফিজ, শফিকুল, মৃত্যুঞ্জয়, স্পিনার নাসুম এবং রাকিবুল! আইডিয়াটা হাস্যকর, কিন্তু বাঁহাতির বিপক্ষে লিটনের অস্বস্তি প্রুভেন ফ্যাক্ট।
গত উইন্ডিজ সিরিযে লিটন একটা কাজ করেছিল। আকিল হোসেন যেহেতু তাকে ট্রাবল দিচ্ছিল, ১ম ওয়ানডের পরেই শেষ ২ ওয়ানডেতে সে ৩ এ ব্যাট করে, একই আকিলকে অনায়াসে খেলে ফেলে!
এই ঘটনাটা ব্যাটসম্যান লিটনের মনোজগত বোঝার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সিগনিফিক্যান্ট রেফারেন্স। শান্ত ২ ইনিংসের কোনোটাতেই দীর্ঘসময় টিকেনি, লিটন সেমি-ওপেনার হিসেবেই খেলেছে। অথচ ব্যাটিং এপ্রোচে পার্থক্য বিশাল!
অনেকে বলেন লিটনের নতুন বল খেলতে সমস্যা হয়। রোহিত শর্মাকেও দীর্ঘদিন হোমট্র্যাক বুলি খেতাব নিয়ে চলতে হয়েছে। নতুন বলে সে এখনো শেকি। তাই ব্যাপারটা এত একরৈখিক মনে হয় না। লিটন যদি ইনিংসের ২য় বলেও মাঠে নামে সে তুলনামূলক কমফোর্টেবলি ব্যাট করতে পারবে অনুমান করি। আমার হাইপোথিসিস বলে সমস্যাটা নতুন বলের নয়, পিচ রিডিংয়ের। একজন ওপেনার যখন যায় একদম ব্রান্ড নিউ বল, ফিল্ডাররা পজিশন নিচ্ছে, আম্পায়ার বলছে ‘প্লে’, এই সিনারিও তে রোল প্লেয়িংয়ের চাইতে ড্রেসিংরুম থেকে পুরো দৃশ্যটা দেখে সবার ভাবগতিক লক্ষ্য করে তারপর ব্যাটিংয়ে নামা, দুয়ের মধ্যে তফাত বিস্তর।
লিটন টেস্টে কখনোই অতটা খারাপ করেনি। অভিষেকেই ৪৪ বা ৪৫ স্কোর করেছিল। টেস্টে কেবল স্ট্রং জোনে বল পাওয়ার অপেক্ষা করে টিকে থাকতে জানলেই হয়। ডিফেন্সিভ টেকনিক আটসাঁট হলে সারভাইভ করা যায়।
টি-টোয়েন্টিতে রিস্ক নিয়ে ব্যাটিং করলে প্রতি চার ইনিংসের একটাতে সে ইফেক্টিভ ইনিংস খেলতে পারবে। ওয়ানডের হিসাব একটু আলাদা। রিস্ক নেয়া যায় না, আবার টেস্টের মতো বাজে বলের অপেক্ষায়ও থাকা যায় না। এখান থেকে ডাউট বা ডিলেমার তৈরি হতে পারে।
অন্য ব্যাটসম্যানদেরও হয়, তারা ম্যানেজ করতে পারে, লিটন পেরে উঠে না। এর দুটো কারণ হতে পারে।
প্রথমত, ওপেনার হিসেবে খেলা।
দ্বিতীয়ত তার পারসোনালিটির গঠন৷ সে মিডিয়া ফ্রেন্ডলি নয়, সময় পেলেই বিদেশ ঘুরে, ইদানীং প্রায়ই মেজাজ হারিয়ে ফেলে।৩টা ফ্যাক্টকে কোরিলেট করলে যা হয় অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিসত্তায় সে অনেকটাই সাকিব ঘরানার, কিন্তু সাকিবের ব্রেইন যেভাবে কাজ করে তার ব্রেইনের ফাংশন বিপরীত। এই প্যারাডক্সিকাল কম্বিনেশন তার পারফরম্যান্সকে একটা লেভেলে আটকে রেখেছে।
তুলনামূলক দুর্বল দলের বোলাররা অত স্মার্ট থাকে না, ইনিংসের শুরুতেই ১টা বা ২টা বাউন্ডারি পেয়ে গেলে লিটন অন্যরকম হয়ে যায়। উপরের সারির বোলাররা ফাঁদ তৈরি করে, সেই ফাঁদ ভেদ করতে যতটুকু স্মার্টনেস প্রয়োজন হয় লিটন সেখানে পিছিয়ে পড়ে, রেফারেন্সের অভাবে। যেমন সে যদি দেখে আগের ব্যাটসম্যান কেমন খেলছিল, সেখান থেকে কীভাবে আউট হলো, এটা তাকে এক ধরনের কনফিডেন্স দিয়ে থাকতে পারে।
আমি আগেও বহুবার বলেছি লিটনের ব্রেইন অনেকটাই লেখক বা মিউজিশিয়ানদের ব্রেইনের মডেলে কাজ করে। লেখক বা মিউজিশিয়ানদের অধিকাংশই কখনো প্রচন্ড ইমপ্যাথি প্রবণ, পরক্ষণেই মারাত্মক indifferent, আবার হয়ত খুব ছোট কারণেই রেগে যাচ্ছে। ক্ষমা করার প্রবণতা কম।
লিটনের সঙ্গেও এই প্যাটার্ন ম্যাচ করার কথা। তাই ক্রিকেটের মতো জটিল পারফর্মিং আর্ট এ নিয়মিত ডমিনেট করা তার জন্য কঠিন হবে এটাই স্বাভাবিক। ব্যাপারটা সামর্থহীনতা নয়, প্রায়োরিটি এবং স্যাক্রিফাইসের।ধরা যাক মিরাজ। আপনি তাকে অপশন দিলেন ক্রিকেট খেলো অথবা মোটর রেস এ যাও৷ মিরাজ প্রতিবারই ক্রিকেট খেলবে অনুমান করি। কারণ খেলাটা তাকে টাকা দিবে, খেলাটা সে এনজয়ও করে।
একই অফার লিটনকে দিলে সে যদি বলে খেলা তো জীবনে আরো খেলা যাবে, মোটর রেস সবসময় থাকবে না, জীবনে এডভেঞ্চারেরও প্রয়োজন আছে। এরপর সে কী করবে জানা যাবে না৷ পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে যেটা বেশি ফিল করবে হয়তবা সেটাই বেছে নিবে।
অর্থাৎ তার জীবনের চয়েজ ফিক্সড নয়, ফ্লেক্সিবল। মাশরাফি একবার ইন্টারভিউতে বলেছিল লিটন যেবার বিপিএল এ তার টিমে খেলেছিল, কয়েক ম্যাচ আন্ডার পারফর্ম করার পর লিটন নিজ থেকেই প্রস্তাব দেয় তাকে ড্রপ করার।
তাই লিটনকে ভালোবাসতে হলে তার জটিল এবং অব্যাখ্যানীয় মেন্টাল জার্নিকে ইমপ্যাথেটিকালি ফিল করেই ভালোবাসতে হবে। পারফর্ম না করলে সমালোচনা হতেই হবে, কারণ নিন্দা বা সমালোচনা এক ধরনের একাউন্টেবিলিটিও। মানুষ যখন জবাবদিহিতার উর্ধ্বে উঠে যায়, সে তখন গ্রোথের তাডনা খুইয়ে বসে।
আমরা দেখেছি কোনোভাবে ২০ বল টিকে গেলে একই লিটন কত ফ্লুয়েন্ট! বরং সমালোচনা হওয়া উচিত ২০ বল টেকার আগেই যে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায় এবং ২০ বল টিকলে যে অন্য লেভেলে প্লে করে সে কেন ২০ বল সারভাইভ করার চেষ্টা করে না— এই ইস্যুতে তাকে তুলোধুনো করা যায়। এটা তার জন্য ওয়েক আপ কল হতে পারে।
কিন্তু রান করতে জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ড লাগে বলার মধ্যে সুস্পষ্ট অপমান। এটাও হয়ত সে ডিজার্ভ করে। সাকিবের যে এটিচুড যদি পারফরম্যান্স না থাকতো এদেশের মিডিয়া কবে তার এপিটাফ লিখে ফেলত!
লিটনের সঙ্গে আমার কখনো কোথাও দেখা হয়নি, তাই তাকে যেভাবে পোরট্রে করেছি সবটাই এজাম্পশন নির্ভর। কিন্তু এজাম্পশনগুলো আমাকে কমফোর্ট দেয়, তার ব্যর্থতাগুলোকে অনুভব করার ক্লু খুঁজে পাই।
আমি চাই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও লিটন খারাপ খেলুক। কোনো কারণে একটা ফিফটি বা সেঞ্চুরি করে বসলে অলরাউন্ডার টাইপ অনলাইন পোর্টালগুলো নিউজ করবে আয়ারল্যান্ডকে পেয়েই জ্বলে উঠলেন লিটন দাস!
স্যাম কারানের ওভারগুলো কম রিস্ক নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টি-টোয়েন্টির অন্তত ১টাতে সে বলার মতো স্কোর করুক! পারবে কিনা জানি না। কারণ টানা ২ ম্যাচে ডাক মারার পরে সে স্যাম কারানকে দৌড়ে আসতে দেখলেই উদ্ভট কোনো ইমেজ কল্পনা করছে কিনা আমি শিওর না।
সাকিব কি বিশ্বকাপের পরেও খেলা চালিয়ে যাবে? আমি মনে করি না। এরপরে কে?
আপনি নিশ্চয়ই নাজমুল শান্ত, নুরুল সোহান, আফিফ বা মোসাদ্দেকের নাম বলবেন না৷ অবশ্য বলতেও পারেন, যেহেতু শান্ত দুর্ধর্ষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮২ বলে ৫৮ এবং ৭৩ বলে ৫৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছে। তবে আমার মতামত হলো শান্ত যেদিন ভালো খেলবে সেদিন ম্যাচ হারা অনেকটাই কনফার্ম,যদি না কোনো বোলার অবিশ্বাস্য কোনো স্পেস দিয়ে অপোনেন্টের ব্যাটিং কলাপ্স ঘটায়। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যদি জিততো প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারটা কোনো বোলার পেত, শান্ত নয়। কিন্তু লিটন রান করেছে, সে ম্যাচে বোলার পুরস্কার পাবে, সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ!
এখানেই ক্যাপাবিলিটি ম্যাটারস। লিটন কোহলি বা রুট নয়, তবে বাংলাদেশে এভেইলেবল রিসোর্সের মধ্যে সে-ই সেরা। এই বাস্তবতা মানলে লিটনের কেইসটার ইন্টারপ্রেটেশন বদলাতে বাধ্য। না বদলালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিল্ডিং দেখে সুখ খুঁজে নিয়েন।