ভাগ্যবান অভিষেকের সৌভাগ্য

সেঞ্চুরি করার আগেই হাঁকিয়েছেন ১১ টি চার আর ছয়টি ছক্কা। মানে কেবল বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি থেকেই করেছেন ৭০ রান। চার-ছক্কার মিছিল সেখানেই থামেনি! নিজের ইনিংসকে ৫৫ বলে ১৪১-এ নিয়ে তবেই থেমেছেন অভিষেক। ততক্ষণে ২৪৫ রান তাড়া করে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের।

সেঞ্চুরি করেই একটা সাদা কাগজ তুলে ধরলেন, প্রথমে বোঝা গেল না কি লেখা তাতে। খোদ বিপক্ষ দলের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও হাতে নিয়ে সেটা দেখলেন। তাতে লেখা, ‘দিসওয়ান ইজ ফর অরেঞ্জ আর্মি!’

অরেঞ্জ আর্মি মানে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। আসলে শুধু হায়দ্রাবাদ নয়, পাঞ্জাব কিংসকেও ধন্যবাদ দিতে পারেন অভিষেক শর্মা। ধন্যবাদ জানাতে পারেন নিজের ভাগ্যকেও। আক্ষরিক অর্থেই রাজ কপাল নিয়ে জন্মেছেন অভিষেক শর্মা।

বিশেষ করে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তাঁর ভাগ্য দারুণ সুপ্রসন্ন। পাঞ্জাব কিংস দলেরও এখানে ভূমিকা আছে। তিনি ক্যাচ তুলে দিলে হয় নো বল হয়, তা হয় বল নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পড়ে, নয় তো ক্যাচ মিস হয়। অবশ্য শুধু ভাগ্যের জোরে এতটা পথ আসা যায় না।

জীবন পাওয়ার পরের বলগুলোতেই বাউন্ডারি হাঁকান সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের এই ওপেনার – হয় ছক্কা না হয় চার। আসলে পুরোটা ইনিংসই তিনি সাজিয়েছেন বাউন্ডারি দিয়ে। অথচ, ৪০ তম বলে সিঙ্গেল নিয়ে পৌঁছান তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারে।

সেঞ্চুরি করার আগেই হাঁকিয়েছেন ১১ টি চার আর ছয়টি ছক্কা। মানে কেবল বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি থেকেই করেছেন ৭০ রান। চার-ছক্কার মিছিল সেখানেই থামেনি! নিজের ইনিংসকে ৫৫ বলে ১৪১-এ নিয়ে তবেই থেমেছেন অভিষেক। ততক্ষণে ২৪৫ রান তাড়া করে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের।

Share via
Copy link