সমস্যার ইতি-অন্ত নেই বাংলাদেশ দলে। মিডল ওভারে বোলিং করার কেউ নেই। মিডল ওভারে ব্যাটিং করারও কেউ নেই। ব্যাটিং কিংবা বোলিং – দুই সময়ে ঠিক এই জায়গা গুলোতেই বারবার বাংলাদেশ ম্যাচ হারছে।
দ্বিতীয় ওয়ানডে-তে এটার ব্যতিক্রম হয়েছে। কারণ, সেখানে মিডল ওভারে জ্বলে উঠতে পেরেছিল বাংলাদেশ। অন্তত বল হাতে, সেদিন তানভির ইসলাম আর শামিম হোসেন পাটোয়ারি ছিলেন অতিমানবীয়।
কিন্তু, বিধিবাম – রোজ রোজ তো আর একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে না। তৃতীয় ম্যাচে যে করেই হোক একাদশে একজন লেগ স্পিনার দরকার ছিল। একাদশে রিশাদ হোসেনের অভাববোধ করেছে বাংলাদেশ। শামিম হোসেন পাটোয়ারি রোজ রোজ সেই অভাব পূরণ করার মত পারদর্শী নন। রিশাদকে খেলানোর দরকার ছিল, সেটা যে করেই হোক – প্রয়োজনে তানভির ইসলামকে বাদ দিয়ে হলেও।
আর একজন পার্টটাইমারকে দিয়ে যখন বাংলাদেশ ডেথ ওভারে বোলিং করায় তখনই বোঝা যায় যায়, দলের বোলিং বিভাগ এখন অন্ত:সারশূন্য। সেই পার্টটাইমারও সম্ভবত এখন নিজের বোলিংয়েই বেশি নজর দিচ্ছেন, কারণ ব্যাট হাতে তিনি বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। ওয়ানডেতে ব্যাটিং গড়টা তাঁর ১০-১১’র মধ্যেই আটকে আছে।
যদিও, গড়ের দিক থেকে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। টানা দু’টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। সিরিজে বাংলাদেশের অন্যতম সো-কল্ড ‘সেরা’ ব্যাটার। কিন্তু, ২৮৬ রান তাড়া করতে নেমে একজন মিডল অর্ডার ব্যাটার ৬৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন কি করে, এভাবে ব্যাট চালিয়ে স্কোরবোর্ড প্রেসার বাড়িয়ে ম্যাচ ডিপে নিয়ে গেলেই বা লাভ কি হত?
হৃদয় আজকাল এভাবেই ব্যাট করেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তাঁর হাফ সেঞ্চুরিটা মোটে ৭৩ স্ট্রাইক রেটে। সেদিন ম্যাচ জিতে যাওয়ায় তাও মুখ রক্ষা হয়েছিল, এবার পাল্লেকেলেতে সেটাও হল না। প্রশ্নবিদ্ধ হল বাংলাদেশের মানসিকতা ও সামর্থ্য। এর মধ্যে আবার একদিন বাদেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি, দেশে ফিরতে আর কত দেরী?