নামের পাশে থাকা বাবার একটা ট্যাগ থাকায় রোনালদো জুনিয়র যখন মাঠে নামে, তখন শুধু প্রতিপক্ষ নয়, প্রত্যাশার পাহাড়ও তাকে মোকাবিলা করতে হয়। আর সেই চাপের মাঝেই গোল করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
রোনালদো বহুবার বলেছেন, তিনি চান না ছেলে তার পথ অনুসরণ করুক; বরং নিজের মতো করে এগিয়ে যাক। তবে ফুটবলের প্রতি রোনালদো জুনিয়রের ভালোবাসা এবং মাঠে তার পরিণত খেলা প্রমাণ করে, বাবার রক্ত যে কতটা গভীরে বয়ে যাচ্ছে! বয়সভিত্তিক দলে খেলেও নিজের সক্ষমতার ছাপ রাখছে সিআর সেভেন জুনিয়র।
পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ জার্সি গায়ে করা ক্রিস্টিয়ানো দস সান্তোসের গোলটা শুধু একটা গোলই নয়, এ যেন একটি শেষ হওয়া গল্পের দ্বিতীয় খণ্ডের সূচনা।
রোনালদো যখন নিজেকে তৈরি করছিলেন, তখন তার পেছনে ছিল না কোনো বড় নাম। কিন্তু রোনালদো জুনিয়রের সামনে যেমন সুযোগ বেশি, তেমনি চাপও অনেক। তবে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিচ্ছে, অল্প বয়সেও সে জানে কীভাবে সেই চাপকে শক্তিতে রূপান্তর করতে হয়।
রোনালদো জুনিয়রের এই যাত্রা হয়তো এখনই বড় মঞ্চের গল্প নয়, তবে শুরুর ধাপটা যে বাবার মতোই আলো ছড়াচ্ছে—তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই। বাবার রাজ্যের পরবর্তী শাসনভার যে সামলাতে হবে তাঁকেই।