কিউই স্পিনারদের ফাঁদে পা দেবে না ভারত!

প্রস্তুতি যা-ই হোক, নিউজিল্যান্ডের ঘূর্ণি ফাঁদ থেকে রেহাই পেতে হলে লড়াইটা যে মাঠেই দিতে হবে, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ কোহলিদের!

দুবাইয়ের রাত। নিস্তব্ধ নীল আকাশের নিচে জ্বলজ্বল করছে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। ঠিক সেখানেই কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত বিরাট কোহলিরা। ম্যাচটা নিয়মরক্ষার, কিন্তু মনোভাবে এতটুকু ঢিলেমি নেই। প্রতিপক্ষ যখন নিউজিল্যান্ড, যখন স্কোয়াডে মিশেল স্যান্টনার, মাইকেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপসের মতো স্পিনাররা, তখন তো প্রস্তুতিটাও হতে হবে নিখুঁত!

সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে স্পিনের বিরুদ্ধে ভারতের ব্যাটিং ছিল মিশ্র। রিশাদ হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ বাংলাদেশের হয়ে সামান্য হলেও পরীক্ষায় ফেলেছিলেন ভারতীয় ব্যাটারদের। সেটা ভারতের জন্য সমস্যা হয়নি। পাকিস্তানের একমাত্র আবরার আহমেদ বাদে অন্য কেউ অবশ্য খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি।

কিন্তু, নিউজিল্যান্ডের স্পিন আক্রমণ যে আলাদা, সেটা ভালোই জানে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই তো অনুশীলনে কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর পটেলরা বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন স্পিন সামলানোর কৌশলে। শ্রেয়াস ও অক্ষর, যারা মূলত মিডল অর্ডারে স্পিনারদের বিপক্ষে লড়াই করেন, তারা শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো অলরাউন্ডারও ব্যাট হাতে সেই পথেই হাঁটলেন। দুবাইয়ের ধীরগতির উইকেটে স্যান্টনারদের বিপক্ষে সফল হতে হলে যে আগ্রাসনই হতে পারে একমাত্র পথ, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলো এই প্রস্তুতি।

বিরাট কোহলি অবশ্য অন্য পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলেন। পেসারদের বিপক্ষে সাবলীল স্ট্রোক প্লে, কিন্তু স্পিনারদের সামনে তাঁর ব্যাটের ধরন বদলে গেল। কব্জির মোচড়ে শট খেলার চেষ্টার পাশাপাশি নিচু কৌশলে খেলছিলেন তিনি। তবে কিছু বল ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাচ্ছিল। কিছু বল মিসও করলেন – মনে স্পিনে তাঁর খানিকটা দূর্বলতা কিছুটা এখনও আছে।

তবে, বিরাট কোহলি বড় মঞ্চের তারকা। বড় মঞ্চ এলেই কি করতে হবে, সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে করে দেখিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও পারবেন কি না সেই পরীক্ষা হবে ম্যাচের দিনই। প্রস্তুতি যা-ই হোক, নিউজিল্যান্ডের ঘূর্ণি ফাঁদ থেকে রেহাই পেতে হলে লড়াইটা যে মাঠেই দিতে হবে, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ কোহলিদের!

Share via
Copy link