কাতারের আল-জানুব স্টেডিয়ামে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ক্যামেরুনের লাইনআপ ঘোষণার পর সব গুঞ্জন যেন সত্য প্রমাণিত হয়। ক্যামেরুনের একাদশ থেকেই শুধু নয় বেঞ্চেও দেখা যায়নি ক্যামেরুনের নিয়মিত গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। ক্যামেরুনের গোলপোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয় ডেভিস এপাসিকে।
প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় ক্যামেরুনের। সে ম্যাচে খুব একটা খারাপ পারফর্ম করেননি ইন্টার মিলানের গোলরক্ষক ওনানা। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, শৃঙ্খলাজনিত কারণে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ওনানাকে। তবে আরেক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম স্পোর্টস এর ইতিলিয়ান প্রতিনিধি ও জনপ্রিয় সাংবাদিক ফাব্রিসিও রোমানোর টুইট থেকে জানা যায় ভিন্ন তথ্য।
ক্যামেরুনের কোচ রিগোবের্ত সং এর সিস্টেমের সাথে খাপ খাওয়াতে পারবেন না বলে কোচের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে দল ছেড়েছেন ওনানা। রিগোবের্ত সং ওনানাকে আরো প্রথাগত গোলকিপিং করতে বলেছিলেন। কোচের মতে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ওনানার খেলার ধরণ। গোললাইন থেকে দলের আক্রমণ শুরু করার সময়ও ঝুঁকি নিয়ে থাকেন ওনানা। সং তার দলের খেলার ধরণের জন্য গোলবারের নিচে বেশি অবস্থান করে এবং ঝুঁকিহীন খেলা গোলরক্ষককেই বেশি পছন্দ করবেন।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনে ওনানার ওপর নিজের অসন্তোষের কথা জানান কোচ সং। কিন্তু নিজের খেলার ধরণ বদলাবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দেন ওনানা। তখন দলের সার্থে ওনানাকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন সং।
তবে এরপরেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাদ দিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় যে ওনানাকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ফেরায় সুযোগ দিয়ে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন ক্যামেরুন কোচ সং। ওনানাকে অবশ্যই কোচ এবং দলের বাকি খেলোয়াড়দের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে যদি তিনি বিশ্বকাপ দলের সাথে যুক্ত হতে চান।
বর্তমান ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি এবং সাবেক বার্সা তারকা স্যামুয়েল ইতোর ফাউন্ডেশন থেকেই উঠে এসেছেন ওনানা। তবে ওনানা ইশ্যুতে দলের কথা মাথায় রেখে কোচের সিদ্ধান্তের প্রতিই সমর্থন জানিয়েছেন ইতো।
তাই বিশ্বকাপ মিশনের ইতি টেনে দল ছেড়েছেন ক্যামেরুনের হয়ে ৩৪ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ওনানা। এর আগে গত বছর ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। এখন দেখার বিষয় কোচের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন কিনা ওনানা।