২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল, ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনাল, মাঝে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয় – সবমিলিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে বলার মত অনেক কিছু ছিল। কিন্তু এখন? সবদিকেই যেন শূন্যতা, সেই শূন্যতার সাগরে ছোট একটা বাতিঘর হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন নাহিদ রানা।
অবাক হবেন না, শিরোপা কিংবা দলীয় অর্জনের সঙ্গে ব্যক্তি মিলিয়ে ফেলছি না। তবে গত চার পাঁচ বছরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে আসলে এই নাহিদ রানাই। তাঁর কারণে এখন একটু হলেও মনোযোগ দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের ম্যাচে, তাঁকে নিয়ে প্রশংসা করতে বাধ্য হচ্ছেন বিদেশী ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাঝপথে এসে অন্তত এটা স্পষ্ট, দলের বেহাল দশার মাঝেও জ্বলজ্বল করে জ্বলছেন এই তরুণ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর পারফরম্যান্স খানিকটা জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে।
ডেল স্টেইনের মত কিংবদন্তি তাঁর ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাঁর বলের গতি দুর্দান্ত, যে ওভারে উইলিয়ামসন আউট হয়েছিল ওই ওভারে সে উইলিয়ামসনকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। এভাবে যদি ঘন্টায় ১৫০ কিমি গতিতে ধারাবাহিক বোলিং করে যায় তাহলে বিশ্বের যেকোনো ব্যাটারের পরীক্ষা নিতে পারবে সে।’
অন্যদিকে ওয়াকার ইউনুস বলেন, ‘নাহিদ পেস এবং বাউন্সে ভাল সমন্বয় ঘটাতে পারে। উইলিয়ামসনকে আউট করার ডেলিভারি সত্যিই আনপ্লেয়েবল ছিল।’
এছাড়া ইরফান পাঠান বলেন, ‘নাহিদ রানা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সেরা বোলার হতে পারে। একমাত্র দুশ্চিন্তা যে, সে দেরিতে ক্রিকেট শুরু করেছে, তাই তাঁর আশেপাশের কোচদের এদিকে নজর রাখা উচিত।’
টাইগাররা পরের ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে, পাকিস্তানের আকিব জাভেদও সতর্ক রানাকে নিয়ে। এছাড়া ওয়াসিম জাফর সহ অনেক কিংবদন্তি প্রশংসা করছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে সময়টা দারুণ কাটছে এই পেসারের, এখন কেবল পারফরম্যান্স ধরে রাখার পালা। কেননা পারফরম করতে না পারলে বাকি সব বৃথা।