Social Media

Light
Dark

চেলসির বিস্ময়বালক, কে এই কোলে পালমার?

সেই তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধ বেশ নির্বিষই কেটেছে, রয়েসয়ে খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড। চেলসিও পারেনি স্কোরবোর্ডে আর কোন পরিবর্তন আনতে। তবে এটাই যথেষ্ট হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে দ্য ব্লুজরা।

হ্যাটট্রিক করতে আপনার কত সময় লাগবে – পুরো ম্যাচ, সত্তর মিনিট নাকি ষাট? একটা অর্ধ পুরোটা না পেলে কি আর এমন মাইলফলক স্পর্শ করা যায়? তবে কোলে পালমার সব হিসেব নিকেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিলেন। স্রেফ দশ মিনিটের ব্যবধানে তিন তিনটি গোল আদায় করে নিলেন, ব্রাইটনের বিপক্ষে আদায় করে নিলেন দুর্ধর্ষ হ্যাটট্রিক।

সবমিলিয়ে প্রথমার্ধেই চার বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন এই তরুণ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এমনটা আগে কখনোই দেখা যায়নি। কেবল প্রথমার্ধে এত গোল করতে পারেননি ওয়েইন রুনি, সার্জিও আগুয়েরো কিংবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মত কিংবদন্তিরাও। অথচ তিনি হাসতে হাসতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে সৃষ্টি করলেন ইতিহাস।

পালমারের প্রথম গোলে নিকোলাস জ্যাকসনের অবদানই চোখে পড়বে বেশি। তবে এর আগে দুই দুইবার গোল বঞ্চিত হয়েছিলেন তিনি। একবার গোলবারে লেগে ফিরে এসেছিল শট, পরের বার জালের দেখা পেলেও ভারের সিদ্ধান্তে বাতিল হয় গোল। সেই আক্ষেপ মিটতে সময় লাগেনি অবশ্য, প্রথম গোলের কয়েক মিনিটের মধ্যে স্পট কিক থেকে বল জালে জড়ান।

এরপরই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, ত্রিশ গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্য এক ফ্রি-কিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ইংলিশ তরুণ। বিরতিতে যাওয়ার আগে বাম পায়ের সাহায্যে আরো একবার স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছিলেন তিনি।

সবমিলিয়ে এদিন স্ট্যামফোর্ডে দেখা গিয়েছে দ্য পালমার শো। তিনি একাই খেলেছেন চেলসির হয়ে এমনটা ভেবে কেউ ভুল করলে এতটুকুও দোষ হবে না। ব্রাইটনের এগারো জনকে প্রায় একাই নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন – মাত্র সাত মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা, তাঁদের তাড়াহুড়োর শাস্তিই দিলেন বোধহয়।

সেই তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধ বেশ নির্বিষই কেটেছে, রয়েসয়ে খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড। চেলসিও পারেনি স্কোরবোর্ডে আর কোন পরিবর্তন আনতে। তবে এটাই যথেষ্ট হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে দ্য ব্লুজরা।

Share via
Copy link