দারুণ উন্মাদনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর; কে কোন পুরষ্কার পেয়েছেন, কোন স্বীকৃতি কার কপালে জুটেছে সেসব ইতোমধ্যে জানা হয়ে গিয়েছে সবার। তবে কোন পুরষ্কার না পেলেও বিপিএল সৌভাগ্য বয়ে এনেছে বেশ কয়েকজন তারকার জন্য – বিপিএল দিয়ে ক্যারিয়ারে নবজীবন পাওয়া তারকাদের নিয়ে খেলা-৭১ এর আজকের আয়োজন।
- মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন(খুলনা টাইগার্স)
তানজিদ তামিম ইমার্জিং প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন ঠিকই, তবে সত্যিকারের আবির্ভাব বোধহয় হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়েছেন তিনি, মিডল অর্ডারে তাঁর ধারাবাহিকতা মনে ধরেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ৩৫ এর বেশি গড়ে ১২ ইনিংসে ৩১৬ রান করেছেন এই তরুণ। তবে তাঁর ছক্কা হাঁকানোর সামর্থ্য সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে, পুরো আসরে ২৪টা ছক্কা মেরেছেন তিনি।
- গ্রাহাম ক্লার্ক (চিটাগং কিংস)
চিটাগং কিংস যখন গ্রাহাম ক্লার্ককে দলে ভিড়িয়েছিল তখন কেউই হয়তো চিনতো না তাঁকে। কিন্তু ব্যাট হাতে ঠিকই ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি, করেছেন একটা সেঞ্চুরিও। সবমিলিয়ে ৪৩১ রান যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে, তাতেই তিনি বনে গিয়েছেন টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। এমন পারফরম্যান্স হয়তো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দিবে না ক্লার্ককে, তবে ক্রিকেট জীবনে নতুন শুরুর জ্বালানি নিশ্চয়ই সরবরাহ করবে।
- সাব্বির রহমান (ঢাকা ক্যাপিটালস)
বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে হারিয়েই গিয়েছিলেন সাব্বির রহমান, তবে ঢাকা ক্যাপিটালস তাঁকে আবারো সুযোগ দেয়। দু’হাতে সেই সুযোগ লুফে নিয়েছেন তিনি, চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৩৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেই মূলত প্রত্যাবর্তনের সূচনা করেছিলেন এই হার্ডহিটার। এর পরের ম্যাচগুলোতে আহামরি পারফরম করতে না পারলেও ফিনিশার হিসেবে নিজের কাজ ঠিকঠাক করেছেন তিনি।
- উইলিয়াম বসিস্তো(খুলনা টাইগার্স)
অনেকটা গ্রাহাম ক্লার্কের মতই বিপিএল দিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায়ে পা রেখেছেন উইলিয়াম বসিস্তো। এবারের আসরে মি.ডিপেন্ডেবল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে দশ ইনিংসে প্রায় ৬০ গড়ে ২৯৮ রান করেছিলেন এই ডানহাতি, তাঁর এই ধারাবাহিকতাই খুলনাকে কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত টেনে এনেছিল। সেই সাথে বল হাতেও অবদান রেখেছেন তিনি – খুলনার প্রোপার স্কাউটিংয়ের ফসল বলা যায় তাঁকে।