দরজায় কড়া নাড়ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নতুন আসর। ২২ মার্চ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের টুর্নামেন্ট। সেই সাথে দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করবে শিরোপার দিকে, আর এই যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পেসাররা। বর্তমান যুগের স্পোর্টিং উইকেটে যে দলের পেস আক্রমণ যত শক্তিশালী হয় তাঁরাই এগিয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে সবার তুলনায় এগিয়ে আছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তাঁদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন প্যাট কামিন্স। বিশ্বকাপজয়ী এই পেসারের পাশাপাশি রয়েছেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার, তরুণ নটরাজন এবং উমরান মালিক। এছাড়া মার্কো জানসেন, ফজলহক ফারুকীর মত পেসারের উপস্থিতি যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপের জন্য হুমকিস্বরূপ।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও কম যায় না, ভারতের নাম্বার ওয়ান পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ লম্বা সময় ধরেই তো তাঁদের ডেরায়। বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো দুই তরুণ জেরাল্ড কোয়েটজি ও দিলশান মাধুশাঙ্কাকে স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে তাঁরা। তাছাড়া লঙ্কান নুয়ান থুসারা হতে পারেন দলটির ট্রাম্প কার্ড।
পাঞ্জাব কিংসের পেস বিভাগের ভরসা কাগিসো রাবাদা। প্রোটিয়া তারকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বল করবেন আর্শ্বদীপ সিং, স্যাম কারানের মত বাঁ-হাতিরা। এছাড়া ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস, অস্ট্রেলিয়ার নাথান এলিস খেলবেন এই দলের হয়ে। সবমিলিয়ে তাই পাঞ্জাবকে পেসারদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
পেসারদের প্রতিযোগিতায় রাজস্বান রয়্যালসকে পিছিয়ে রাখার কোন কারণ অবশ্য নেই। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট আছেন তাঁদের স্ট্রাইক বোলার হিসেবে; তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্মার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আভেশ খান এবং নভদীপ সাইনির উপর প্রত্যাশার চাপ থাকবে বেশি। উদীয়মান নান্দ্রে বার্গারও রয়েছেন গোলাপী জার্সিধারীদের শিবিরে।
বাকি দলগুলোর মধ্যে ব্যাঙ্গালুরু তুলনামূলক ভাল অবস্থায় রয়েছে। ইনফর্ম মোহাম্মদ সিরিজ একাই যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিতে পারেন। তিনি ছাড়াও বিরাট কোহলিদের হয়ে খেলবেন রিচ টপলি, আলজারি জোসেফ ও লকি ফার্গুসনের মত বিশ্বমানের পেসাররা। সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ একটা পেস ব্যাটারি রয়েছে দলটির ড্রেসিংরুমে।