ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে যোগাযোগ হয়েছে বুলবুলের

কাজ করতে চান বুলবুল। তবে, এর আগে বিসিবিতে পরিবর্তনটা দেখতে চান তিনি। বললেন, ‘আমি দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চাই। তার জন্য আগে অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই। গত ১২ বছর আসলে আমাদের বোর্ড লক্ষ্যহীন ভাবে চলেছে। এখন সবাই পরিবর্তনের কথা বলছে। বোর্ডে ফারুক ভাই এসেছেন, ফাহিম ভাই এসেছেন। তবে, আমার কাছে বোর্ডের লক্ষ্যটা এখনও পরিস্কার নয়। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিতে হলে বোর্ডের পরিবেশটা পাল্টাতে হবে। গত ১২ বছর যে পরিবেশ আমি দেখেছি, সেই ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্মোহ তারকা তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এখন যে পরিবর্তনের ঢেউ উঁকি দিচ্ছে সেসব পরিবর্তনের কথা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন তিনি। সেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলও সামিল হতে পারেন এই পরিবর্তনের মিছিলে।

১২ বছরের অচলাবস্থা ভেঙেছে। সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ পেয়েছেন বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব। এখানেই শেষ নয়, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সাথেও। খেলা ৭১ কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়েছেন দেশের সাবেক এই অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘সপ্তাহ দুয়েক আগে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একজন আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল। শুধু আমি না আরও কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকও ছিলেন। আমাদের কাছে ক্রিকেটের জন্য, বোর্ডের জন্য তাঁরা একটা রূপরেখা চেয়েছিলেন। এখন তিনি আমাকে বোর্ডে বা ক্রিকেটে চান কি না, সেটা নিয়ে সরাসরি কোনো কথা হয়নি।’

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বেই খেলতে যায় বাংলাদেশ। হারায় পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে। ২০০০ সালের অভিষেক টেস্টে তিনি ভারতের বিপক্ষে ১৪৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে তাক লাগিয়ে দেন। তবে, আক্ষেপের বিষয় হল বর্তমানে আইসিসিতে কাজ করা বুলবুলকে কখনওই বাংলাদেশ ক্রিকেট সেই অর্থে কাজে লাগাতে পারেনি।

কাজ করতে চান বুলবুল। তবে, এর আগে বিসিবিতে পরিবর্তনটা দেখতে চান তিনি। বললেন, ‘আমি দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চাই। তার জন্য আগে অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই। গত ১২ বছর আসলে আমাদের বোর্ড লক্ষ্যহীন ভাবে চলেছে। এখন সবাই পরিবর্তনের কথা বলছে। বোর্ডে ফারুক ভাই এসেছেন, ফাহিম ভাই এসেছেন। তবে, আমার কাছে বোর্ডের লক্ষ্যটা এখনও পরিস্কার নয়। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিতে হলে বোর্ডের পরিবেশটা পাল্টাতে হবে। গত ১২ বছর যে পরিবেশ আমি দেখেছি, সেই ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।’

বুলবুলের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আইসিসিতে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর তৃণমূল ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছেন। কোচদের ট্রেনিংয়ে এখন তাঁর ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগও বেশ ইতিবাচক তাঁর। সেদিক থেকে তিনি কাজ করতে প্রস্তুত থাকলে কাজের জায়গা করে দেওয়াটা বিসিবিরই নৈতিক দায়িত্ব হওয়া দরকার।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link