পায়ের জাদুতে গোটা বিশ্বকে এক মায়াজালে বেঁধেছিলেন লিওনেল মেসি। তাকে কেউ কেউ বলেছেন ভিনগ্রহের প্রাণি। যদিও বা তা সত্যি না হয়, এবার অন্তত হবে। তার ছোঁয়ায় যে আগামীর সম্ভাবনার দ্বার হয়েছে উন্মোচিত। ক্ষুদে লামিন ইয়ামালের মাথায় মেসি রেখেছিলেন হাত। ১৭ বছরের জন্মদিবস হওয়ার আগেই সেই লামিন ছড়িয়েছেন বিস্ময়ের ধুম্রজাল।
চলতি ইউরোতে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন স্পেনের তরুণ উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল। মাত্র ১৭ বছর বয়সী বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ডের কাধে ভর করেই দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে স্পেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শিশু লামিল ইয়ামেলের সাথে বার্সেলোনা কিংবদন্তি লিওনেল মেসির কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে মিডিয়ায়। যে ছবিগুলি এখন পর্যন্ত লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বললেন ইয়ামাল। তিনি জানান যে লুকিয়ে রাখার কারণ ছিল যে এই কিংবদন্তির সাথে তাঁর তুলনা ক্যারিয়ারে সাহায্য করত না।
এই মাসের শুরুর দিকে মেসি ও ইয়ামালের ২০০৭ সালের কিছু ছবি প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায় যে মায়ের সাথে ছয় মাস বয়সী ইয়ামালকে গোসল করাচ্ছেন মেসি। ছবিগুলো প্রকাশের পর দ্রুত বিশ্বব্যাপীর কাছে তা নজর কেড়েছিল।
এটি ইউনিসেফের সাথে যৌথভাবে কাতালান সংবাদপত্র দিয়ারিও স্পোর্ট দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল। যা একটি দাতব্য ক্যালেন্ডারের জন্য তোলা ছবিগুলোর একটি সিরিজের অংশ ছিল।
এই সম্পর্কে ইয়ামাল বলেন, ‘স্পষ্টতই ছবি তোলার মুহূর্তে আমি সেই বয়সে কি ঘটেছে সে সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। আর বাবার কাছে ছবিগুলি সংরক্ষিত ছিল এবং সেগুলি কখনোই বেরিয়ে আসেনি। মূল কারণ আমরা মেসির সাথে তুলনা চাই না। ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়ের সাথে তুলনা করলে কেউ বিরক্ত হবে না। তবে এটি এমন কিছু যা আপনার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। কারণ আপনি কখনই তাঁর মতো হতে পারবেন না।’
তবে যেমনটি ভেবেছিল ইয়ামেলের পরিবার ঠিক তেমনটিই হয়েছে। বার্সার এই তরুণ খেলোয়াড়ের বিস্ফোরক পারফরম্যান্সের কল্যাণে তাঁকে মেসির সাথেই তুলনা করা চলছে। বিশেষ করে মেসির মতোই বাম পায়ের উইঙ্গার এবং ডানদিকে খেলার জন্য এমন তুলোনা চলছে।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে ২০২৩ সালে বার্সার সিনিয়র দলের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন ইয়ামেল। নিজের প্রথম মৌসুমেই ৫০ টিরও বেশি ম্যাচ খেলেন তিনি। ফলে স্পেনের হয়ে দ্রুত আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার স্বীকৃতিও অর্জন করেন তিনি।
আর জার্মানিতে চলমান ইউরো ফুটবলের খেলা এবং গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে উঠেন ইয়ামাল।বার্সার সাবেক কোচ জাভি সম্মত হন যে অনিবার্য তুলনাগুলি কার্যকর ছিল না। তবে তিনিও স্বীকার করেন ১৭ বছরে পা দেওয়া ইয়ামালের মধ্যে মেসির ছাপ আছে।
ছবিগুলির একটি গত সপ্তাহে ইয়ামেলের বাবা প্রথম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন এবং লিখেছিলেন, ‘দুই কিংবদন্তির শুরু।’