আরিফুলদের আক্ষেপের গল্প!

দুবাইয়ের মাঠে বাংলাদেশী ব্যাটারদের ব্যাটে যে রাতের আধার নেমেছিল, সেখানে নতুন ভোরের আলো হয়ে জাগতে পারেন আরিফুল ইসলাম।

দুবাইয়ের মাঠে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যাটে যে রাতের আধার নেমেছিল, সেখানে নতুন ভোরের আলো হয়ে জাগতে পারেন আরিফুল ইসলাম। গত এনসিএলের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪৬ বলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ইনিংস। এবারও শুরুটা করলেন দারুণভাবে। ঠিকঠাক সুযোগ পেলে যেটা হতে পারে দেশের ক্রিকেটের বড় সমাধান।

সিলেট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা বিভাগের হয়ে মাঠে নামলেন, একপ্রান্ত আগলে রেখে খেললেন ৫৯ রনের কার্যকরী এক ইনিংস। নিজের সক্ষমতার প্রমাণ আগেই দিয়েছেন তিনি। গত আসরে সাত ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২১৩ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪২। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ছিলেন সাত নম্বরে।

এমন পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দল পেয়েছিলেন তবে খেলা হয়নি একটি ম্যাচও। তামিম ইকবাল প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘আরিফুল হবেন ভবিষ্যতের বাংলাদেশ।’ আর আক্ষেপটা মূলত এখানেই।

ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিপিএলে এক ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি। দলের কম্বিনেশনের মারপ্যাঁচে নিজের প্রতিভা জানান দিতে পারেননি নিজের দেশের ঘরোয়া লিগে। এমন আক্ষেপগুলো যে দেশের ক্রিকেটের বিশ্বস্ত সঙ্গী।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপলাইন দুর্বল, ভালো বিকল্প নেই এমন আওড়ানো বুলি কেবল শোনা যায়। তবে অন্ধকারে কেউ মশাল জ্বালিয়ে প্রতিভার সন্ধান  করেনা। তাই তো বাংলাদেশ দল যখন ধুকতে থাকে, আরিফুলরা নিরবে দেখে যান। একটা সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকেন তীর্থের কাকের মতো।

এখন তবে করণীয় কি? করণীয়টা—আরিফুলকে এখন এইচপি, এ দল সব জায়গায় খেলাতে হবে। সারা বিশ্বে সকল কন্ডিশনে প্রস্তুত করতে হবে জাতীয় দলে আসার আগে। পরিপূর্ণ প্রস্তুতি শেষে বড় পর্যায়ের রাস্তা দেখাতে হবে।

তবে সমস্যাটা এখানেও, ওই জায়গাগুলো বরাদ্দ থাকে ত্রিশোর্ধ্ব ইয়াংস্টারদের জন্য। এনসিএল টি২০তেও আরিফুলের মতো আরও তরুণদের জায়গা মেলে না, আলাউদ্দিন বাবু, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের জন্য। তাই তো প্রতিভা হারিয়ে যায় অন্ধকারেই।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link