‘কৌশল’ শিখিয়ে গেলেন কুশল

সেদিন বাংলাদেশের কেউ কুশল মেন্ডিস হয়ে উঠলেই ম্যাচটা চলে যেতে পারত বাংলাদেশের দখলে।

কুশল মেন্ডিসের জন্য মাইলফলক দুয়ারেই ছিল। দারুণ সব স্ট্রোক খেলে তিনি হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। রীতিমত ওয়ানডে মেজাজের ইনিংস। কলম্বোর গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে উইকেটে টিকে থাকা নয়, বরং দ্রুত রান তুলে লিড বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল তাঁর।

সেটা করতে গিয়েই সেঞ্চুরিটা মিস হয়ে গেল। একটা রান নিলেন, দ্বিতীয়টার জন্য ছুটলেন, কারণ টেল এন্ডারদের ওপর ভরসা রাখতে চান না। আর সেখানেই যত গন্ডগোল। ডাইভ দিয়েও পারলেন না নিজেকে বাঁচাতে।

তাইজুল ইসলামের অফস্টাম্পের বাইরের শর্ট বলটিকে কভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়েই কুশল চিৎকার দিয়ে বলেছিলেন — ‘দুই!’ ডিপ কভার থেকে এবাদত হোসেনের বজ্রগতির থ্রো উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে!

মেন্ডিস ছুটছেন, ডাইভ দিচ্ছেন, কিন্তু ভাগ্য তাঁর সঙ্গে নেই। খুব কাছাকাছি ছিলেন, কিন্তু মোক্ষম এক থ্রো যেন মুহূর্তেই সব শেষ করে দিল।

ডাইভ দিয়ে পড়ে গিয়েছেন, উঠেই একটু হাত আর পেট চেপে ধরলেন, তবে গুরুতর কিছু নয় মনে হচ্ছে। ধীরে ধীরে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটছেন। গ্যালারিতে প্রশংসা পাওয়ার মতো ইনিংস ছিল অবশ্য—শ্রীলঙ্কা ২১১ রানের লিড নিল।

শেষটা ছিল নাটকীয়, কিন্তু ইনিংসটা ছিল প্রশংসনীয়। ৮৭ বলে ৮৪ রান করে গেছেন। রান তুলেছেন ৯৬.৫৫ স্ট্রাইক রেটে। আর এই ইনিংসটাই সম্ভবত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিল।

গলের প্রথম টেস্টে এরকম কোনো ম্যাচ ‘ডিসাইসিভ’ ইনিংস খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম রান করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের মন্থরগতির ইনিংসেই আসলে ম্যাচটা ড্র হয়। সেদিন বাংলাদেশের কেউ কুশল মেন্ডিস হয়ে উঠলেই ম্যাচটা চলে যেতে পারত বাংলাদেশের দখলে।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link