ভারতীয় ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে কাজ করছে এক নতুন দর্শন—ভয়ডরহীনতা, চাইলে এই দর্শনকে খোদ গৌতম গম্ভীরের নামেই নামকরণ করা যায়। দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর জানালেন, তাঁর ফোকাস এখন শুধুই ‘ইমপ্যাক্ট’—গড় বা স্ট্রাইক রেট নয়।
অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এবার ভারতের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আফ্রিকা। নভেম্বর ১৪ থেকে টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি, ঘরের মাঠে। ভারত প্রথম টেস্ট খেলতে পৌঁছে গেছে কলকাতায়।
বিসিসিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেন, ‘যেদিন থেকে আমি দায়িত্ব নিয়েছি—সেই শ্রীলঙ্কা সফর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত—আমাদের দর্শন বদলায়নি। ব্যাটিং অর্ডার খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, ওপেনার দুজন ছাড়া বাকিদের জায়গা পরিবর্তন হয়। টি-টোয়েন্টিতে রানের পরিমাণ নয়, ইমপ্যাক্ট-ই আসল বিষয়।’

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গম্ভীর ভারতীয় দলে এনে দিয়েছেন নতুন গতি। তাঁর নেতৃত্বে তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন ও অক্ষর প্যাটেলদের মতো খেলোয়াড়রা বিভিন্ন পজিশনে উঠে আসছেন, ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছেন। গম্ভীরের ভাষায়, এটি পরীক্ষামূলক কোনো পরিকল্পনা নয়—এটাই দলের কৌশল।
ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারণ করতে চান না গম্ভীর। বরং মেটাতে চান পরিস্থিতির চাহিদা। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমরা ব্যাটিং অর্ডারকে পানির মত ভাসমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পানি যে পাত্রে যাবে, তারই আকার ধারণ করবে। আমাদেরটাও তাই। আমরা গড় বা স্ট্রাইক রেটের পেছনে ছুটতে চাই না। একজন খেলোয়াড় কোন পরিস্থিতিতে কতটা প্রভাব ফেলছে, সেটাই মূল বিষয়।’
সাবেক এই ওপেনার আরও মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেমন ক্রমে বদলাচ্ছে, তেমনি কোচদেরও তাল মেলাতে হবে সময়ের সঙ্গে। বললেন, ‘সময়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বদলাবে। কোচ হিসেবেও আমাদের বদলাতে হবে। আমরা চাই ক্রিকেটের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে। সবচেয়ে বড় কথা, এই তরুণরা দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছে—এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।’

তবে গম্ভীর স্পষ্ট করে দিয়েছেন—ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যতই উজ্জ্বল হোক, তিনি কখনও হার উদযাপন করবেন না। মন্তব্য করলেন, ‘দেশ হিসেবে কিংবা ব্যক্তি হিসেবে—আমরা কোনো সিরিজ হেরে সেটি উদযাপন করব না।’ আর এই ইমপ্যাক্টেই তো অনন্য গম্ভীর।










