নতুন এক রেকর্ডে যুক্ত হয়ে গেছে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দল। টেস্ট ক্রিকেটে এখন তাদের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে নেই কোন পার্থক্য। ধর্মশালা টেস্ট জয়ের মধ্যে দিয়ে জয়-পরাজয়ের দাড়িপাল্লা এখন রয়েছে স্থির এক অবস্থানে।
সেই ১৯৩২ সালে প্রথমবারের মত সাদা পোশাকে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের যাত্রা শুরু। প্রায় এক শতাব্দী হতে চলেছে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট যাত্রা। এই সময়টায় ভারত দেখেছে নানামুখী উত্থান-পতন। কতশত নতুন তারকার জন্ম হয়েছে সাদা পোশাক গায়ে। লাল রাঙা সেই গোলক হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন অনেকেই।
দীর্ঘ এই পথচলায় ভারত টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ৫৭৯টি। বেজায় বিশাল এক সংখ্যা। তবে এর থেকেও বিশাল ব্যবধানে অবস্থান ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। এই দুই দল যথাক্রমে ১০৭১ ও ৮৬৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছে। অন্যদিকে ভারতের থেকে কয়েক ম্যাচ দূরত্বে অবস্থান ওয়েস্ট ইন্ডিজের। পাকিস্তান ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ কম খেলেছে ভারতের তুলনায়।
তবে একটা দিক থেকে পাকিস্তান ভারতের চাইতে রয়েছে এগিয়ে। জয়ের বিপরীতে পরাজয়ের হার পাকিস্তানের ১.০৪৫। পাকিস্তান তার টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৪৮টি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে ১৪২টি ম্যাচে। ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাও।
ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল তার বিস্তৃত ক্যারিয়ারে ৩৯২টি ম্যাচ জিতেছে। তাতে করে ৩২৪ পরাজয় নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ের বিপরীতে পরাজয়ের হার ১.২০৯। জয়ের দিক থেকে সবার উপরে অবস্থান করছে ‘দ্য মাইটি অস্ট্রেলিয়া।’
৮৬৬ ম্যাচের মধ্যে অজিরা ৪১৩ ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে। পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছে ২৩২ ম্যাচে। তাতে করে তাদের জয়-পরাজয়ের রেশিও ১.৭৮০। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়-পরাজয়ের অনুপাত, ১.১০৫। এরা সবাই ভারতের চাইতে উপরে রয়েছে।
তবে ধর্মশালায় ইংল্যান্ড বধের মধ্য দিয়ে ভারত নিজের জয়-পরাজয়ের অনুপাতকে করে ফেলেছে ১:১। যার অর্থ ভারত ঠিক ততটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে, যতগুলো তারা হেরেছে। সাদা পোশাকে ভারতের জয়-পরাজয়ের সংখ্যা এখন সমান। সংখ্যাটা এখন ১৭৮।
নিশ্চয়ই ভারত এই সংখ্যাটাকে আর নেতিবাচক হতে দেবে না। এখান থেকে জয়ের অনুপাত ক্রমশ বেড়েই যাবে। অন্তত ভারত ক্রিকেটের বর্তমান কাঠামো, পারফরমেন্স সেই আশাই দিচ্ছে- ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের।