ভারতের বিপক্ষে পরাজয় সত্যিই কি কাঁদিয়েছিল বাবর বাহিনীকে? সত্য-মিথ্যা যাই হোক, এমন খবরই ভেসে বেড়াচ্ছে গণমাধ্যমের জগতে। চোখের জলে না হোক, বেদনার সাগরে যে ভেসেছিল পাকিস্তান শিবির, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও কানাডার বিপক্ষে জয় পেয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাকিস্তান দুর্গে। তাঁরা বুঝতে পারে ভাগ্য সবসময় তাঁদের পক্ষে কথা বলবে না। তাই দলের সবাই কিছুটা স্বাভাবিকতায় ফিরে আসে তাঁদের সর্বশেষ ম্যাচের জয়ের স্বাদ পাওয়ার পর। কোচ গ্যারি কার্স্টেন আলাদাভাবে একেক খেলোয়াড়ের সাথে কথা বলেন। তিনি তাঁদেরকে অতীতের কষ্ট ভুলে গিয়ে আগামী ম্যাচে মনস্থির করতে বলেন।
তবে খেলোয়াড়দের কান্না করা এবং রাতের খাবার না খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পাকিস্তান দলের সূত্র এবং সেটাকে গুজব বলেই অভিহিত করে। তাছাড়া খেলোয়াড়দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাকারী দলই এমন পরিস্থিতি তৈরী করছে। তাঁরা জানান, দলের সবাই বেশ হতাশায় পড়লেও, কান্না করার পরিবেশ ছিল না। তবে নাসিম তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারেনি।
ফ্লোরিডায় পৌছানোর পরেই পাকিস্তানকে স্বাগত জানায় বৃষ্টি। তাঁরা বুধবার প্র্যাক্টিস সেশনে নামার পরিকল্পনা করেছিল। তবে চলমান বৃষ্টি সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে। তাই পাকিস্তান আগামী বৃহস্পতিবার প্র্যাক্টিস করতে পারে।
তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে এই বৃষ্টির সময়সীমা আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। যা বাবর আজমদের জন্য মোটেও কোনো সুখের সংবাদ নয়। কেননা সেই বৃষ্টিতে ভেসে যাতে পারে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্বপ্ন।
১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে আয়ারল্যান্ড। সেই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে জিততেই হবে, নয়তো পন্ড হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা। তবে অবাক করা বিষয়, সেই ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৯১ ভাগ। আর ম্যাচ বাতিল হলে যুক্তরাষ্ট্র এক পয়েন্ট নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পৌছে যাবে অনায়াসে। তখন পাকিস্তানকে ধরতে হবে বাড়ি ফেরার পথ।