Social Media

Light
Dark

কারাগার ফেরত একাদশ

সর্বকালের সেরা একাদশ, বর্তমান প্রজন্মের সেরা একাদশ, অলরাউন্ডারদের নিয়ে গড়া সেরা একাদশ কিংবা পেসারদের নিয়ে গড়া একাদশ – কত আজব নিয়মেই তো দল বানিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেই সূত্র ধরে এবার আরও অদ্ভুত একটা ক্রিকেট দল বানিয়ে ফেলা হলো – যে দলের প্রত্যেকের রয়েছে কারাভোগের অভিজ্ঞতা।

  • সালমান বাট (পাকিস্তান)

ফিক্সিং কান্ডে কারাগারে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছিল সালমান বাটের জীবনে; ক্রিকেটার হিসেবেও তিনি ছিলেন সময়ের সেরা একজন। বিতর্কিত ঘটনা না ঘটলে সমৃদ্ধ হতে পারতো তাঁর ক্যারিয়ার।

  • নভোজিৎ সিং সিধু (ভারত)

১৯৮৮ সালে গাড়ি চালানোর সময় সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ভারতীয় কোর্ট বিচারে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। নিজের প্রজন্মের সেরা এই ওপেনারকে তাই একাদশে রাখতেই হচ্ছে।

  • দানুশকা গুনাথিলাকা (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিলাকা ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথেই গ্রেফতার হওয়ার লজ্জা পেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক নারীকে যৌন হয়রানি করার কারণে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাঁকে।

  • কুশল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)

মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস; যেতে হয়েছিল কারগারেও। ব্যতিক্রমী একাদশের হয়ে উইকেটকিপিং করবেন তিনি। যদিও দু:সময় কাটিয়ে মাঠের খেলায় ফিরতে পেরেছেন এই লঙ্কান।

  • বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)

বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ভাবা হয় বেন স্টোকসকে। তবে নাইটক্লাবে মারামারি করায় ব্রিস্টলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি; সেসব নিয়ে লম্বা সময় ঝামেলা সহ্য করতে হয়েছে এই ইংলিশকে। অবশ্য পারফরম্যান্স করে নিজের পুরনো অতীতকে ভুলতে পেরেছেন তিনি।

  • ইমরান খান (পাকিস্তান) – অধিনায়ক

রাজনৈতিক কারণে বারবার কারাগারে যেতে হয়েছে ইমরান খানকে। তবে ক্রিকেটার হিসেবে তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। তাই তো আজব এই একাদশের আর্মব্যান্ডও থাকবে তাঁর বাহুতে।

  • মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান)

সালমান বাটের সেই বিখ্যাত ফিক্সিং কান্ডের অংশ ছিলেন মোহাম্মদ আমির। সেসময়কার তরুণ আমিরকে পরবর্তীতে জেলহাজত থেকেও ঘুরে আসতে হয়েছিল; ক্রিকেট থেকে পেয়েছিলেন পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।

  • মোহাম্মদ আসিফ (পাকিস্তান)

মোহাম্মদ আমিরের মত স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন মোহাম্মদ আসিফও। দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ে মন মাতানো আসিফ এরপর পুলিশি হেফাজতে গিয়েছিলেন; যদিও আমিরের মত ক্রিকেটে আর ফেরা হয়নি তাঁর।

  • শান্তাকুমারান শ্রীশান্ত (ভারত)

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন শ্রীশান্ত। এরপর অবশ্য তাঁকে সাত বছর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিসিসিআই।

  • আরাফাত সানি (বাংলাদেশ)

বান্ধবীর করা এক অভিযোগের ভিত্তিতে জেল হাজতে যেতে হয়েছিল আরাফাত সানিকে। আলোচিত সেই নারী নিজেকে আরাফাতের স্ত্রী হিসেবে দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে; যদিও এই স্পিনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

  • সন্দ্বীপ লামিছানে (নেপাল)

বাকি সবার চেয়ে বড় অভিযোগ বোধহয় সন্দ্বীপ লামিচানের কপালে জুটেছে। ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন এই লেগ স্পিনার। থাকতে হয়েছিল কারাগারে। সাম্প্রতিক সময়ে জামিনে ছাড়া পেলেও এখন পর্যন্ত নিরপরাধ প্রমাণিত হননি তিনি।

  • শাহাদাত হোসেন রাজীব (বাংলাদেশ) – দ্বাদশ ব্যক্তি

বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুর দিক কার ব্যাড বয় ভাবা হয় শাহাদাত হোসেন রাজীবকে। দেশের প্রেক্ষাপটে অন্যতম সেরা পেসার ছিলেন, লর্ডসের অনার্স বোর্ডেও নাম আছে তাঁর। তবে গৃহকর্মীকে নির্যাতন আর পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এই ডানহাতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link