বিশ্ব কাঁপানো পাকিস্তানি বোলারদের মুখ লুকানোরও জায়গা নেই!

ব্যাটিং নয়, ইতিহাস বলে পাকিস্তানের শক্তির জায়গা বরাবরই তাঁদের বোলিং। আরো স্পষ্ট করে বললে পেসাররাই মূলত দলটির প্রাণশক্তি। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পেসারদের ঘিরে স্বপ্ন বুনছে তাঁরা, তবে সেই স্বপ্ন অনেকটাই ফিঁকে হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টির পর।

এই ম্যাচে হতশ্রী পারফরম্যান্সের প্রদর্শনী ঘটিয়েছেন তিন পেসার, বাদ যাননি স্পিনার শাদাব খানও। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে এদিন ১৫৭ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।

জিততে হলে তাই দারুণ কিছু করতে হতো বোলারদের; অথচ নাসিম শাহ আর মোহাম্মদ আমির শুরুতেই হার মেনে নিলেন। দু’জনেই নতুন বলে দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ইংলিশ ওপেনারদের উচ্ছাসের কারণ হয়ে উঠেছিলেন।

নিজের প্রথম ওভারে নাসিম খরচ করেছিলেন আট রান। কিন্তু ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে জশ বাটলার ও ফিল সল্টের তোপের মুখে পড়েন তিনি; সেই ওভার থেকে আসে ২৫ রান। একই ভাবে রান বিলিয়েছেন অভিজ্ঞ আমিরও, প্রথম ওভারে ১৬ রান খরচ করার পর দ্বিতীয় ওভারে দিয়েছেন আরো ১১ রান।

পেস সেনসেশন শাহীন শাহ আফ্রিদিও ব্যতিক্রমী কিছু করতে পারেননি, পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার বল করে ১৬ রান দিয়েছিলেন তিনি। উইকেট তোলা তো দূরে থাক, প্রতিপক্ষের ওপর কোন চাপই তৈরি করতে পারেনি তাঁর বোলিং।

অন্যদিকে স্পিনার শাদাব তুলনামূলক কম রান খরচ করলেও ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার মত কিছু করতে পারেননি। অথচ আগের ইনিংসে তাঁর মতই লেগি আদিল রশিদ একাই ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে দিয়েছিলেন।

হারিস রউফই একমাত্র প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম করতে পেরেছেন। ব্যক্তিগত তিন ওভারের প্রতিটিতেই উইকেট পেয়েছিলেন তিনি, তাঁর বোলিংয়ের সময় একটু হলেও মনে হয়েছিল ব্যাটাররা চাপে আছেন।

যদিও একজনের পারফরম্যান্সে চিত্রপট বদলায় না, সবমিলিয়ে বলতে গেলে পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপের এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সেই লক্ষ্যে আমির, ইমাদ ওয়াসিমকে ফিরিয়েছিল পাক ম্যানেজম্যান্ট।

কিন্তু, লাভের লাভ হলো না কিছুই, ঘুরে ফিরে বোলারদের হতশ্রী রূপ দেখতে হচ্ছে বারবার। স্পিন কিংবা পেস দুই বিভাগেই দুর্বলতা ফুটে উঠছে, দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে বিশ্ব মঞ্চে বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বাবর আজমদের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link