পাঞ্জাব কিংস ২০১১ সালের পর শ্রেয়াস আয়ারের নেতৃত্বে প্লে-অফের টিকিট হাতে পেয়েছে। বারবার ব্যর্থ হওয়া দলটির এই সাফল্যের পেছনের গল্পটা শুধুই মাঠের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, ড্রেসিংরুমের পরিবেশও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যেখানে একজন বাস ড্রাইভার এবং যুজবেন্দ্র চাহালকে মাপা হয়েছে একই দাড়ি-পাল্লায়।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার শশাঙ্ক সিং, যাকে মেগা নিলামের আগেই পাঞ্জাব নিজেদের ডেরায় রেখে দিয়েছিলো, দলের সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার এবং প্রধান কোচ রিকি পন্টিংয়ের তৈরি করা ড্রেসিং রুম সংস্কৃতিকে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শশাঙ্ক সিং বলেন, ‘শ্রেয়াস এবং পন্টিং দলটির প্রতিটি সদস্যকে সমানভাবে সম্মান দেন। তারা শুরু থেকেই বলে দিয়েছেন—দলে যারা আছেন, যেমন যুজবেন্দ্র চাহাল যিনি সিনিয়র সদস্যদের একজন, কিংবা দলের বাস চালক—সবার প্রতি একই সম্মান প্রদর্শন করা হবে।’
মাঠের খেলার শুধুই কৌশল নয়, পাঞ্জাব তৈরি করেছে এমন একটি পরিবেশ, যেখানে প্রত্যেক সদস্য সম্মান পায়, গুরুত্ব পায় নিজের জায়গা থেকে।
পাঞ্জাবের মূলমন্ত্র ছিলো দল হয়ে খেলো, এই একতাবদ্ধ ভাবনাই যেন বদলে দিয়েছে তাদের চেহারা। দল গড়ার পর অনেকে সমালোচনা করেছিলেন, ভেবেছিলেন এবারও হয়তো অপ্রাপ্তির সুর বাজবে পাঞ্জাব শিবিরে। তবে পাশার দান উল্টে দিয়েছে ‘বিশ্বাস’, যার উপর ভরসা করে শশাঙ্ক সিং থেকে শুরু করে প্রিয়ানশ আরিয়া কিংবা প্রভসিমরান সিং—সবাই জ্বলে উঠেছেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
সোমবারের ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয় পেয়ে দল উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে, যার মানে সামনে থাকছে—প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ এবং ফাইনালে ওঠার দ্বিগুণ সম্ভাবনা।
পাঞ্জাব কিংস আগামী ২৯ মে, মুল্লানপুরে নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে। দলের ভেতর কোনো আলাদা ‘তারকা’ সংস্কৃতি নেই, বরং আছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর একত্রে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা। আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে সেটাই পাঞ্জাবকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।