প্রথম শিরোপা কিংবা শতক, মিরপুরে থিসারা পেয়েছেন পূর্ণতা

ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শেষ অবধি এদিনও অপরাজিত থেকেছেন বটে। ১০৩ রানে তিনি ছিলেন নট আউট।

চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন থিসারা পেরারা। কিন্তু তাতে অবশ্য বদলে যায়নি ম্যাচ ভাগ্য। দুর্ভাগা থিসারা পরাজিত সেনানি হয়েই ছেড়েছেন মাঠ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা বড্ড বেশি মলিন হয়ে রইল তার জন্য।

একই দিনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ দেখল দুই সেঞ্চুরি। দিনের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন উসমান খান। তার দল চট্টগ্রাম কিংস অবশ্য সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। তবে থিসারার ভাগ্যে ততটাও সহায় হয়নি। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাইতো স্মৃতি হল না বর্ণিল।

অবশ্য মিরপুর আর থিসারার রয়েছে এক রঙিন স্মৃতি। এই শেরে বাংলাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে সেদিন ম্যাচ জেতানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন থিসারা পেরেরা। ১৪ বলে ২৩ রানের এক কার্যকর ইনিংস খেলে তিনি দলকে এনে দিয়েছিলেন শিরোপা, শেষ অবধি অপরাজিতও ছিলেন তিনি।

সেটাই ছিল থিসারার জেতা প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অবশেষে প্রায় এক দশক পর থিসারার আরও একটি প্রথমের সাথে জুড়ে গেল মিরপুর। ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শেষ অবধি এদিনও অপরাজিত থেকেছেন বটে। ১০৩ রানে তিনি ছিলেন নট আউট।

কিন্তু এবার দলকে ম্যাচ জেতাতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয়ই রয়েছে। তার দল যে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হেরেছে ২০ রানে। অবশ্য এ দায় মোটেও তার নয়। দলের বাকিদের উইকেট বিতরণের উৎসবের মাঝেও তিনি লড়াই চালিয়েছেন একটা প্রান্ত থেকে।

দলকে শেষ অবধি টেনে নিয়ে গেছেন। তবে ম্যাচ জেতাতে পারলে তিনি নিজেও হয়ত সবচেয়ে বেশি খুশি হতে পারতেন। কিন্তু সে সুযোগটা এবার আর হয়ে উঠল না। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অন্তত শতকটা পেয়ে গেলেন তিনি। অপূর্ণতা রইল না, সেটুকুই সান্ত্বনা, সেটুকুই স্বস্তি।

Share via
Copy link