পাক বধের পাঁচ স্তম্ভ

প্রথম কোন এশিয়ান দেশকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ, আর ঘরের মাঠে পাকিস্তান এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হলো – ঐতিহাসিক একটা মুহূর্ত পার করছে এখন টাইগাররা, সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে অবিশ্বাস্যের জন্ম দিয়েছে। দলের প্রত্যেকের অবদান ছাড়া এমন দিন দেখা সম্ভব হতো না অবশ্য, তবে কয়েকজন রয়েছেন যাদের কথা আলাদা করে বলতেই হয়।

প্রথম কোন এশিয়ান দেশকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ, আর ঘরের মাঠে পাকিস্তান এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হলো – ঐতিহাসিক একটা মুহূর্ত পার করছে এখন টাইগাররা, সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে অবিশ্বাস্যের জন্ম দিয়েছে। দলের প্রত্যেকের অবদান ছাড়া এমন দিন দেখা সম্ভব হতো না অবশ্য, তবে কয়েকজন রয়েছেন যাদের কথা আলাদা করে বলতেই হয়।

  • মেহেদি হাসান মিরাজ 

সম্ভবত টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে ইনফর্ম অলরাউন্ডার এখন মেহেদি মিরাজ। পুরো সিরিজ জুড়ে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। ব্যাট হাতে দুই ম্যাচে দুইবার নামার সুযোগ পেয়েছিলেন, দুবারই হাঁকিয়েছেন হাফ-সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, বোলার মিরাজের সামনে তো দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। পুরো সিরিজে এক ফাইফার সহ মোট দশ উইকেট নিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজসেরার পুরষ্কারটা তাঁর পকেটেই গিয়েছে।

  • লিটন দাস 

ক্ল্যাসিক্যাল লিটন দাস রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে নিজের ক্লাস দেখাতে কোন ভুল করেননি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে এই কাজের কাজটা করেছেন পরের ম্যাচে, ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তাঁর ১৩৮ রানে ভর করেই ম্যাচে ফিরেছিল। শুধু তাই নয়; উইকেটের পিছনেও দুর্দান্ত ছিলেন লিটন, ডিসমিসাল কিংবা ডিআরএসে সমান তালে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।

  • হাসান মাহমুদ

স্রেফ এক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে পাকিস্তানে এসেছিলেন হাসান মাহমুদ, কিন্তু এখন তিনি দেশ ফিরছেন দারুণ সব সুখস্মৃতি নিয়ে। সেটা তাঁর প্রাপ্য বটে; দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে এই পেসারই তো ধসিয়ে দিয়েছিলেন স্বাগতিকদের; আগের ম্যাচেও নিয়েছিলেন তিন উইকেট। লাইন লেন্থ বিবেচনায় পরিপূর্ণ এক টেস্ট বোলার হিসেবে নিজেকে চেনালেন তিনি।

  • নাহিদ রানা

ইতিহাস, পরিসংখ্যান কিংবা ফলাফল সবকিছু পাশে সরিয়ে রাখলে পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ‘নাহিদ রানা’। সবমিলিয়ে তাঁর উইকেটসংখ্যা পাঁচটি, কিন্তু গতির যে প্রদর্শনী তিনি দেখিয়েছেন সেটা অলৌকিক ঠেকেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতির বোলার এখন এই তরুণ, তাঁর গতির ঝড়েই উড়ে গিয়েছে বাবরের উইকেট আর রিজওয়ানের হেলমেট।

  • মুশফিকুর রহিম

দ্বিতীয় টেস্টে সেরকম কিছু করতে না পারলেও শুরুর গল্পের একচ্ছত্র নায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে প্রথম টেস্টে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই ইনিংসই অভূতপূর্ব কিছু করার সাহস পেয়েছিল পুরো দল।

Share via
Copy link