জিম্বাবুয়ের রেকর্ড সংগ্রহের কারণে ক্ষুদে দল সিশেলসের ম্যাচটা মনে রাখতেই পারে যে কেউ। তবে বাংলাদেশিদের জন্য ম্যাচটা মনে রাখার আরো একটা কারণ আছে, এ ম্যাচে সিশেলসের হয়ে খেলেছেন লাল সবুজের দু’জন; এছাড়া সাইড বেঞ্চে ছিলেন আরো একজন – ক্রিকেটার রপ্তানি যুগের দুয়ারে বোধহয় পা পড়লো বাংলাদেশের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাব রিজিওনাল কোয়ালিফায়ারে সিশেলসের মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আইসিসির র্যাংকিংয়ে ৯২ তম ধাপে থাকা দলটাকে উড়িয়ে দিবে সিকান্দার রাজার দল, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ম্যাচের গল্প। ব্রায়ান বেনেটের ৩৫ বলে ৯১ আর তাদিনওনাশে মারুমানির ৩৭ বলে ৮৬ রানের ইনিংসের সুবাদে ২৮৬ রানের পাহাড়ে চড়ে জিম্বাবুয়ে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি রান তোলার নজীর আছে আর মাত্র দু’টি। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে অবশ্য ৬.১ ওভার বোলিং করাই যথেষ্ট হয়েছে তাঁদের জন্য, ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ৭৬ রানে জিতেছে তাঁরা। যদিও জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনার বিষয় এখন তিন বাংলাদেশি।
মেহেরপুর জেলার মোহাম্মদ সোহেল রানা রকেট, বরিশালের জুবায়ের হোসেন অপু এবং ঢাকার মোহাম্মদ মাজহার ইসলাম ছিলেন সিশেলসের স্কোয়াডে। এদের মধ্যে জুবায়ের এবং মাজাহার সুযোগ পেয়েছেন আফ্রিকা মহাদেশের এই দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেট একাদশে।
ক্রিকেটীয় পরিচয়ে মাজহার মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার, এখন পর্যন্ত ১৫ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শূন্য রানে অপরাজিত থাকলেও ক্যারিয়ারে ২৪৯ রান করেছেন, যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের প্রথম উইকেট হিসেবে পেয়েছেন টাডিওয়ানাশে মারুমানির উইকেট।
অন্যদিকে, জুবায়েরের যাত্রাটা শুরু হয়েছে কেবল, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর। অবশ্য স্মরণীয় দিন আরো স্মরণীয় করে রেখেছেন তিনি, সতীর্থ বোলাররা যেখানে বেধড়ক পিটুনি হজম করেছে সেখানে এই পেসার চার ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৩৬ রান, সেটাও আবার দুই উইকেটের বিনিময়ে। রায়ান বার্ল এবং ওয়েসলে মাধেভেরের উইকেট নিয়েছেন তিনি। দলের বাজে দিনে জুবায়েরকেই সিশেলসের সেরা পারফর্মার বলা যায়।