প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আর ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ দারুণ। কিন্তু লড়াইটা যখন ক্রিকেট মাঠে হয় তখনই যেন চারপাশ ঘিরে ধরে বৈরীতায়। অ্যাডিলেডে আজ সেই মহারণেরই আবারও মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। দুই দলের জন্যই এ ম্যাচটা সেমির লড়াইয়ে যাওয়ার জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ।
তাই, টুর্নামেন্টে দল হিসেবে ফেভারিটের তকমা থাকলেও এ ম্যাচ নিয়ে অতি সাবধানী টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কথাতেই সেটি স্পষ্ট হয়। আর তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ম্যাচে ভারতের একাদশে তিনটি পরিবর্তন হতে পারে।
দীনেশ কার্তিকের জায়গায় একাদশে ঢুকবেন ঋষাভ পান্ত। এ ছাড়া রবিচন্দ্রন আশ্বিনের জায়গায় চাহাল আর দীপক হুডার জায়গায় একাদশে আসতে পারেন অক্ষর প্যাটেল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের সময় ১৬ তম ওভারে পিঠে চোট পেয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। চোট পাওয়ার পর সে ম্যাচেই তাঁকে ড্রেসিং রুমে ফিরে যেতে হয়। বাকি সময়টুকুতে উইকেট কিপিং করেছিলেন ঋষাভ পান্ত। আর সে ম্যাচের পর অফিশিয়ালি জানিয়ে দেওয়া, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে থাকছেন না দীনেশ কার্তিক। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশে ঢুকছেন ঋষাভ পান্ত।
আগের ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছিলেন রবিচন্দ্রন শ্বিন। বিশেষত ১৯ তম ওভারে এসে ডেভিড মিলারের কাছে টানা দুই ছক্কা হজম করায় ভারতের ম্যাচ জয়ের আশা কার্যত সেখানেই শেষ হয়ে যায়। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশে আশ্বিনের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন চাহাল।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের হয়ে ভূবনেশ্বরের পর চাহালেররই সবচেয়ে বেশি ৮৫ টি উইকেট রয়েছে। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হল, কখনোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি চাহালের। এবার হয়তো সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে তাঁর।
দীনেশ কার্তিক, আশ্বিনের পর দলে আরেকটি পরিবর্তনও আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটি হল, দীপক হুডার জায়গায় আসতে পারেন অক্ষর প্যাটেল। মূলত শেষ ম্যাচে দীপক হুডাকে দিয়ে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করানোর চেষ্টা করানো হলেও সে ম্যাচে বলার মত কিছুই করে দেখাতে পারেননি তিনি। তাই তাঁর পরিবর্তে বোলিং অপশন বাড়াতে অক্ষর প্যাটেলকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশে ফেরাতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
আজ বেলা দুইটায় বাংলাদেশের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে ভারত। অতীত ইতিহাস বলে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে এর আগে কখনওই ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আজও নিশ্চয় সেই ইতিহাসের ধারাই অব্যহত রাখতে চাইবে রোহিত শর্মার দল।