লাল বলে ৭০০ উইকেট – স্রেফ একটা মাইলফলক নয়, এটা এভারেস্ট জয় কিংবা এর চেয়ে কঠিন কিছু। সেই তেনজিং নোরগে, এডমন্ড হিলারি থেকে শুরু করে অনেকেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন, কিন্তু সাতশ টেস্ট উইকেটের বিরল স্বাদ পেয়েছেন মাত্র তিনজন – মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন আর জেমস অ্যান্ডারসন।
বিশেষত্ব ফুটে উঠেছে বটে, একমাত্র পেসার হিসেবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অ্যান্ডারসন। দিন কয়েক আগে অবসর নেয়া এই ইংলিশ তারকা পেসারদের জন্য নতুন একটা পথ খুলে দিয়েছেন। কিন্তু আদৌ কি নতুন কারো পক্ষে সম্ভব তাঁর সাত শতকের ক্লাবে প্রবেশ করা?
তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে এখন অবশ্য সাদা বলের গুরুত্ব বেশি, তার ওপর আবার ফ্রাঞ্চাইজি লিগ। তাই যেকারো জন্য এত লম্বা সময় ধরে টেস্ট ম্যাচ খেলা, ধারাবাহিকতা ধরে রাখা প্রায় দুঃসাধ্য। কিন্তু কেউ যদি অ্যান্ডারসনের মতই স্রেফ শুভ্রতার সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করেন তাহলে? সেক্ষেত্রে অবশ্য তিনজন পেসারের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রথমেই বলতে হয় জাসপ্রিত বুমরাহর কথা; পিচ কিংবা প্রতিপক্ষ তাঁর উইকেট শিকারের নেশায় বাঁধা হতে পারেনি কোন কিছুই। ইতোমধ্যে ৩৬ ম্যাচ খেলে ক্রিকেটের বনেদি সংস্করণে ১৫৯ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এখন থেকে যদি এই ডানহাতি কেবল টেস্ট ক্রিকেট খেলেন তাহলে সাতশ উইকেটের কীর্তি গড়া কঠিন হওয়ার কথা নয়।
আরেকজন প্যাট কামিন্স, তাঁকে শুধু পেসার বললে ভুল হবে। তিনি নেতা, তিনি পথপ্রদর্শক। নিখুঁত পরিকল্পনা আর সেটার বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাই তো এই অজি যদি ৭০০ টেস্ট উইকেট নিতে চান তাহলে তাঁকে আটকানো প্রায় অসম্ভব।
আপাতদৃষ্টিতে হয়তো মনে হয় টিম সাউদির ক্যারিয়ারের খুব বেশি বাকি নেই, তবে বাকি দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নিলে আরো অনেক দিন লাল বলে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাঁর। আকাঙ্খিত মাইলফলকে পৌঁছুতে তাঁকে আর মাত্র ৩২০ উইকেট পাড়ি দিতে হবে। সেটা কি সম্ভব?