ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের নিলাম মহাযজ্ঞ শেষ হয়েছে। আইপিএল ২০২৫ মেগা নিলামে খরচ হয়েছে ৬৩৯ কোটি ১৫ লাখ রুপি। অর্থের যেন বন্যা হল মরুর দেশ সৌদি আরবে। ভেঙে গেছে পুরাতন সব দরদামের রেকর্ড।
বহু খেলোয়াড়ই এবার বেশ চড়া দরে বিক্রি হয়েছেন। তবে তিনজন খেলোয়াড় নিয়ে সবচেয়ে বেশি লড়াই হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে, রীতিমতো কাড়াকাড়িই যাকে বলা যায়।। তাদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।
- ঋষাভ পান্ত (৪ দলের লড়াই)
ভারতের তারকা ক্রিকেটার ঋষাভ পান্ত-তো নিলামের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। আইপিএল তো বটেই, বিশ্বের যেকোনো লিগে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া খেলোয়াড় তিনি। বিধ্বংসী ব্যাটিং, দক্ষ উইকেট কিপিং কিংবা অধিনায়কত্ব, সবেতেই সর্বেসর্বা তিনি।
তাইতো তাকে নিয়ে লড়াইটাও বেশি, তৃতীয় সর্বোচ্চ ‘বিডিং যুদ্ধ’ হয় তাকে নিয়ে। চারটা দল তাকে ডেরায় ভেড়ানোর চেষ্টা করলেও প্রথমে লড়াইটা হয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্সে ব্যাঙ্গালুরু ও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে। দুই কোটি ভিত্তিমূলের পান্তের দাম কোটি দশেক ছাড়ালে নিলাম যজ্ঞে উপস্থিত হয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদও।
লখনৌ, হায়দ্রাবাদের কাড়াকাড়িতে শেষ অবধি ২০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে পান্তকে প্রায়ই নিজেদের ডেরায় ভিড়িয়েই ফেলেছিল লখনৌ। তবে বিধিবাম এবার দৃশ্যপটে হাজির দিল্লি ক্যাপিটালস , আরটিএম সুযোগ কাজে লাগায় । শেষ অবধি যদিও লখনৌ ২৭ কোটি দিয়ে সব বাঁধা টপকে তাদের পরম আরাধ্য পান্তকে নিজেদের করেই নেয়।
-
যুজবেন্দ্র চাহাল ( ৬ দলের লড়াই)
পাঞ্জাব কিংস তাকে ১৮ কোটি রুপিতে দলে ভেড়ায়, এতেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্পিনার বনে যান তিনি। আইপিএলের সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। ১৬০টি ম্যাচে ২০৫ টা উইকেট আছে তার ঝুলিতে।রাজস্থান রয়ালস তাকে ছেড়ে দিলে তার প্রতি ঝোক ছিল সবদলেরই।
তারই প্রমান মিললো নিলামে। দুই কোটি ভিত্তিমূলের চাহালের জন্য শুরুতে প্রতিযোগিতাটা ছিল চেন্নাই সুপার কিংস আর গুজরাট টাইটান্সের মধ্যে। তবে এরপরে তাকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে লখনৌ আর পাঞ্জাব।শেষ মূহুর্তে লড়াইয়ে নাম লেখায় হায়দ্রাবাদ আর ব্যাঙ্গালুরুও। তবে শেষে পাঞ্জাবের বাজেটের সাথে টেক্কা দিয়ে পেরে ওঠেনি হায়দ্রাবাদ। তাই এই অভিজ্ঞ স্পিনারের জায়গা হয় পাঞ্জাব কিংসের ডেরাতেই।
- আর্শদ্বীপ সিং ( ৭ দলের লড়াই)
বাঁহাতি আর্শদ্বীপ সিং ছিলেন এবারের নিলামের অন্যতম ‘হটকেক’। দুই কোটি ভিত্তিমূলের আর্শদ্বীপের জন্য লড়েছে সবচেয়ে বেশি ফ্রাঞ্চাইজি, সাতটি! চেন্নাই, দিল্লি, গুজরাট,ব্যাঙ্গালুরু,রাজস্থান, হায়দ্রাবাদ শুরু থেকেই তাকে পেতে বিডযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলো। তবে ওস্তাদের মার শেষ রাতে দেখায় পাঞ্জাব, ১৫ কোটি ৭৫ লাখে নিজদের আরটিএম সুযোগ কাজে লাগায় তারা।
হায়দ্রাবাদ ফিরতি দাম ১৮ কোটি বললেও ধোপে টিকেনি তা, ঐদামেই ঘরের ছেলেকে ঘরেই রেখে দেয় তারা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যৌথ সবোর্চ্চ উইকেটশিকারী আর আইপিএলে ৬৫ ম্যাচে ৭৬ উইকেটের মালিক তিনি। পাঞ্জাব তাই ঝুঁকি নেয়নি, পেস আক্রমনের নবাব তারা ঘর থেকেই বাছাই করেছে।