ঝলমলে এক বিকেল। স্টেডিয়াম ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছে, কারণ ম্যাচটা বিশেষ। দিনটি আলাদা – বলিউডের জনপ্রিয় তারকা এবং ফিটনেস আইকন টাইগার শ্রফের পেশাদার ফুটবলে আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। বহু বছর ধরে ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা ও সেলিব্রিটি ম্যাচগুলোতে খেলার পর, এবার মুম্বাই এফসির হয়ে খেলার সুযোগ তিনি আর হাতছাড়া করতে চাননি।
টাইগারের এই যাত্রা সাধারণ ছিল না। যদিও তিনি মূলত তার বলিউডে অভিনয়য়ের জন্য পরিচিত, ফুটবলের প্রতি তার মনপ্রাণ সবসময়ই নিবেদিত ছিল। এই দিনটির জন্য তিনি মাসের পর মাস কঠোর পরিশ্রম করেছেন, নিজের দক্ষতা আরও শাণিত করেছেন। ভারতের সেরা খেলোয়াড়দের পাশে থেকে ড্রিবলিং, পাসিং ও শুটিংয়ে পারদর্শিতা অর্জন করেছেন। প্রথমদিকে কোচদের কিছুটা সন্দেহ থাকলেও, টাইগারের অটল প্রতিশ্রুতি তাদের মন জয় করে নেয়।
খেলা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই টাইগার তাঁর দক্ষতার প্রমাণ দিতে থাকেন। প্রথমে ডিফেন্সিভ রোল পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও, কিছুক্ষণ পরই তিনি বলের উপর দখল ও সঠিক পাস দিয়ে খেলায় নিজেকে তুলে ধরেন। দর্শকেরা তার পেশাদারিত্বে বিস্মিত হয়ে ওঠেন।
খেলার ৬০তম মিনিটে সেই প্রত্যাশিত মুহূর্ত আসে। মুম্বাই সিটি এফসি একটি গোল পিছিয়ে ছিল এবং তারা সমতা ফিরিয়ে আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তখন টাইগার একটি পাস পেয়ে দুটি ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে বলটি সামনের দিকে নিয়ে যান। একটি ছোট্ট সুযোগ খুঁজে নিয়ে শট করেন তিনি। বলটি সোজা জালে ঢুকে পড়ে। গোটা স্টেডিয়ামে উল্লাস বয়ে যায় – টাইগার তার প্রথম পেশাদার গোলটি করেন।
ম্যাচ চলতে থাকে, এবং টাইগারের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়তে থাকে। তিনি আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেন তার সতীর্থের জন্য। খেলার শেষ বাঁশি বাজলে, মুম্বাই এফসি ২-১ ব্যবধানে বিজয় লাভ করে। টাইগারের গোল ও অ্যাসিস্টই মূল পার্থক্য গড়ে দেয়।
মাঠ থেকে বেরোনোর সময় দর্শকরা তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায়, আর স্টেডিয়াম জুড়ে ‘টাইগার অন দ্য প্রাউল’ লেখা ব্যানার নিয়ে উল্লাস। সেই দিন টাইগার শ্রফ তার বহুমুখী প্রতিভার প্রমাণ দেন এবং ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা যে কোনো অংশে কম নয়, তা ফুটিয়ে তোলেন।