তিলকের দৃঢ়তায় কুর্নিশ জানায় শিরোপা

সেই বিশ্বাসে ভর দিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছাল ভারত নামক রণতরী। ৫৩ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত থেকে গতিপথ নির্ধারণ করেছেন বা-হাতি তিলক ভার্মা।

শঙ্কার মেঘ সড়িয়ে, জয়োৎসবের নায়ক বনে গেলেন তিলক ভার্মা। অপরাজেয় ভারতের ঝুলিতে আরও একটি শিরোপা। তিলকের দৃঢ়তায় কুর্নিশ করে গেল পাকিস্তানের সমস্ত প্রচেষ্টা। অপরাজিত থেকে তিলক শিরোপায় যুক্ত করলেন ভারতের নাম।

ভারতের শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার একটা শঙ্কা জেগেছিল। টপ অর্ডারের ধুন্ধুমার শুরুর উপরই ছিল দলটা নির্ভরশীল। সেই টপ অর্ডার গুটিয়ে গেল মাত্র ২০ রানের মাথায়। দলের মিডল অর্ডারও সেইভাবে পরীক্ষার মুখোমুখি হয়নি এশিয়া কাপের পুরো আসরে। তাতে কি? তিলকরা এই দিনের জন্যে বহু আগে থেকেই প্রস্তুত থাকেন।

তিলক দাঁড়িয়ে গেলেন পাকিস্তানের সামনে। একটা সুদৃঢ় বাঁধ হয়ে তিনি টিকে রইলেন, দলের জয় লিখবেন বলে। সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গী হিসেবে পেলেন ৫৭ রানের জন্যে। এরপর শিভাম দুবে এসে কাজটা সহজ করতে চাইলেন, ৬০ রানের জুটি গড়ে। তবে তারা দু’জনই বিদায় নিলেন একটা পর্যায়ে।

শেষ ওভারে দশ রান প্রয়োজন। ৫০ বলে ৬০ রান করে অ্যাংকরম্যান হয়ে দাঁড়িয়ে তিলক ভার্মা। হারিস রউফের প্রথম বলে অনিয়ন্ত্রিত শটে বল হাওয়ায় উঠল বটে, তবে পাকিস্তানের কোন ফিল্ডার নাগাল পেলেন না তাতে। দুই রান কমালেন তিলক। পরের বলে স্কোয়ার লেগ দিয়ে হাঁকালেন ছক্কা।

এরপরের এক রানের দূরত্বটা পারি দিলেন রিঙ্কু সিং। তবে ওই অবস্থানে দলকে নিয়ে এসেছেন মূলত তিলক ভার্মাই। পাকিস্তানের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা ভারতের জন্যে মোটেও ছিল না মাথাব্যথা। তবে শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফদের শুরুর আগ্রাসনের ভারতের কপালে ঘনিভূত হয়েছিল দুশ্চিন্তা।

কাশ্মিরের বুকে অটল এক পাহাড়ের মত তিলক দাঁড়িয়ে গেলেন দুবাইয়ের বুকে। পাকিস্তানের পেস ব্যাটারি, স্পিনের জাদুকরি মায়াজাল কোন কিছুই টলাতে পারেনি তিলককে। তিনি মাথায় বল প্রতি হিসেব কষে নিজের ব্যাট চালিয়েছেন। স্নায়ুচাপে ধমনীতে রক্তের প্রবাহ বেড়েছে, তবুও চোখে-মুখে ছিল বিশ্বাস।

সেই বিশ্বাসে ভর দিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছাল ভারত নামক রণতরী। ৫৩ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত থেকে গতিপথ নির্ধারণ করেছেন বা-হাতি তিলক ভার্মা। ভারতকে তিনি জেতালেন নবম এশিয়া কাপ শিরোপা।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link