মানুষ বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়। মোহাম্মদ হাফিজ যেন কথাটার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। নিজে নির্বাচক থাকাকালে শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফকে দেশসেরা পেসারের তকমা দিয়েছিলেন তিনি। আর এখন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভরাডুবির পর তিনিই আবার টিম ম্যানেজম্যান্টকে পরামর্শ দিচ্ছেন এই তিন পেসারকে ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে।
সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘শাহীন শাহ, নাসিম শাহ আর হারিস রউফের পেসত্রয়ী ২০২৩ এশিয়া কাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও কিছু করে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রতিভাবান কিন্তু বড় মঞ্চে পারফরম করার সামর্থ্য নেই তাঁদের।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘এদের ভুলে যান; মোহাম্মদ আলী, আকিফ জাভেদ, ওয়াসিম জুনিয়ররা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। তাঁরাও তো পাকিস্তানি, পাকিস্তানের পাসপোর্ট আছে। তাঁদের ওপরও একটু ভরসা করে দেখুন।’
পারফরম্যান্স বিচারে হাফিজের কথাকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজদের সেরা পেস বিভাগ দাবি করলেও পাকিস্তানের পেসাররা ধারাবাহিকভাবে হতাশ করে চলছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তো দু’হাতে রান বিলিয়েছেন তাঁরা, ভারতের বিপক্ষেও ম্যাচ শেষ হওয়ার অনেক আগে ফলাফল স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
সেজন্য বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে কড়া সমালোচনা করেছেন কিংবদন্তি ব্যাটার ইনজামাম উল হক নিজেও। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৭০-৭৫ রান হজম করে বসেছিল তাঁরা, ভারতের সাথেও একই দশা। একই পিচে বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছিল, তাঁরা অন্তত প্রতিপক্ষকে এত সহজে রান করতে দেয়নি।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্ন ইতোমধ্যে শেষ পাকিস্তানের; এখন চাইলেই নতুন করে সব শুরু করতে পারে তাঁরা। চাইলেই নতুন করে দল গুছিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। প্রতিভার অভাব কখনোই ছিল না তাঁদের, এখন দেখার বিষয় সে প্রতিভা ব্যবহৃত হয় কি না। নাকি আগের মত চলতে থাকে সবকিছু।