Social Media

Light
Dark

চিপকের স্পিনস্বর্গে রান করা জটিল কিন্তু দু:সাধ্য নয়

চেন্নাইয়ের উইকেটে দাঁড়িয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫০০ রান ছাপিয়ে গেছেন মাত্র ৫ জন ব্যাটার।

চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের  দুর্বলতা নতুন নয়। তার মধ্যে চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেট বরাবরই ব্যাটারদের জন্য মৃত্যুকূপ। সেখানে দাঁড়িয়ে বড় বড় ইনিংস খেলার ইতিহাসও খুব একটা নেই।

চেন্নাইয়ের উইকেটে দাঁড়িয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫০০ রান ছাপিয়ে গেছেন মাত্র ৫ জন ব্যাটার। স্বাভাবিকভাবেই তারা প্রত্যেকেই ভারতীয়। এমনকি এই ভেন্যুতে টেস্টে সর্বাধিক রান করা ব্যাটারদের শীর্ষ তিনজন ব্যাটারই অবসর নিয়ে ফেলেছেন।

গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ ৭৮৫ রান নিয়ে রয়েছেন তিন নম্বর স্থানে। মোটে ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে ১৭টি ইনিংসে ব্যাট করেছেন গুন্ডাপ্পা। চিপকে তার খেলা সেরা ইনিংসটি ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২২২ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেছিলেন ডান-হাতি এই ব্যাটার। ১৯৮২ সালে খেলা সেই ইনিংসটিই ছিল গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

চিপকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটার খ্যাত শচীন টেন্ডুলকার। তিনিও দশটি টেস্ট খেলেছেন এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে। সেই দশ ম্যাচের ১৬ ইনিংসে ব্যাট করবার সুযোগ পেয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। তার মত তুখোড় প্রতিভাবান ব্যাটারও হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করতে পারেননি।

৯৭০ রান নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে চিপকের মাটিতে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। চিপকে সেটিই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

একমাত্র সুনীল গাভাস্কার চিপকে হাজার রানের মাইল ফলক পেরিয়ে যেতে পেরেছেন। ১২টি টেস্ট খেলেছিলেন সুনীল। স্পিনারদের ত্রাসের নগরীতে তিনি ২১টি ইনিংসে ব্যাট হাতে বাইশ গজে হাজির হয়েছিলেন। বৈরী পরিবেশে দাড়িয়েও ১০১৮ রান করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার।

এমনকি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি তিনি খেলেছিলেন সেই চিপক স্টেডিয়ামে। ৬৬৬ মিনিটের ম্যারাথন ইনিংস খেলেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪২৫টি বল মোকাবেলা করেছিলেন। ২৩৬ রানে অপরাজিত থেকেছিলেন।

তাতেই অন্তত প্রমাণিত হয়, চেন্নাইয়ের উইকেট ব্যাটারদের জন্য দুঃস্বপ্ন নয়। প্রবল ইচ্ছেশক্তি আর সক্ষমতার জোরে সেখানেও রান করা যায়। বাংলাদেশের ব্যাটাররা এখন সেই সক্ষমতার প্রদর্শন ঘটাতে পারবে কি-না সেটা সময়ই বলে দেবে।

Share via
Copy link