চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা পাঁচ ব্যাটার

২০১৩ সালে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার হয়েছিলেন এই তারকা; পরের আসরে দল শিরোপা না জিতলেও তিনি ধরে রেখেছিলেন আগের জায়গা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দামামা বেজে উঠেছে, দলগুলো নিজেদের প্রস্তুতি সারছে জোরেশোরে। ক্রিকেটপ্রেমীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার। এই আগ্রহ আর উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিতে খেলা-৭১ তুলে এনেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সেরা পাঁচ ব্যাটারের গল্প।

  • ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ক্রিস গেইলকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার বোধহয় কিছু নেই। খুনে মেজাজের ব্যাটিং দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সাজিয়েছেন তিনি। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উপহার দিয়েছেন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স, মাত্র ১৭ ইনিংসে ৭৯১ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে সেঞ্চুরি আছে তিনটা আর তাঁর ব্যাটিং গড় ৫০ এর বেশি। এই বাঁ-হাতির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই ২০০৪ সালে শিরোপা উঠেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে।

  • মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২১ ম্যাচ খেললেও কোন সেঞ্চুরি নেই মাহেলা জয়াবর্ধনের। সেই আক্ষেপ ধারাবাহিক রান করে মিটিয়েছেন তিনি, তাঁর ব্যাটে হাফসেঞ্চুরি আছে সবমিলিয়ে পাঁচটা আর মোট এসেছে ৭৪২ রান। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার যৌথ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে এই কিংবদন্তির।

  • শিখর ধাওয়ান (ভারত)

রানে পিছিয়ে থাকলেও বড় ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে প্রথম দুইজনকেই ছাড়িয়ে গিয়েছেন শিখর ধাওয়ান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবমিলিয়ে মাত্র দশ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। তাতেই তিন সেঞ্চুরি আর তিন হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে ৭০১ রান করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার হয়েছিলেন এই তারকা; পরের আসরে দল শিরোপা না জিতলেও তিনি ধরে রেখেছিলেন আগের জায়গা – তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবচেয়ে ইম্প্যাক্টফুল ব্যাটারও বলা যায় তাঁকে।

  • কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)

পাঁচ আসর মিলিয়ে ২১ ইনিংস খেলেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, করেছেন ৩৮ গড়ে ৬৮৩ রান। অন্যদের তুলনায় তাঁর পরিসংখ্যান খানিকটা সাদামাটা মনে হলেও পারফরম্যান্সের গুরুত্ব কোনভাবেই কম ছিল না। ২০০২ সালের শিরোপাজয়ী দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি; এছাড়া ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ১৩৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস ভুলতে পারেনি কেউই।

  • সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)

শিখর ধাওয়ানের মতই অল্প সময়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। স্রেফ ১১ ইনিংস খেলেই সমান তিনটি করে সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরির মালিক বনে গিয়েছেন তিনি; আর সবমিলিয়ে তাঁর মোট সংগ্রহ ৬৬৫ রান। ২০০০ সালে ভারতের ফাইনাল খেলা কিংবা পরের আসরে শিরোপা জেতা কোনটাই সম্ভব হতো না তাঁকে ছাড়া।

Share via
Copy link