নখদন্তহীন টপ অর্ডার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের

রোহিত শর্মা আছেন, তিলক ভার্মা আছেন; সাথে নতুন যুক্ত হয়েছেন রায়ান রিকেলটন, উইল জ্যাকস। তবু মুম্বাইয়ের টপ অর্ডার ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। চেন্নাই সুপার কিংস আর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে টপ অর্ডারের লড়াইতেই মূলত পিছিয়ে পড়েছিল দলটা। 

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স – মাঠ আর মাঠের বাইরে মিলিয়ে আইপিএলের সবচেয়ে জৌলুশপূর্ণ ফ্রাঞ্চাইজি বলা যায় তাঁদের। তবে চলতি আসরে সেই জৌলুশ অনেকটাই যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে, কাগজে-কলমে এক ঝাঁক তারকা দলে থাকলেও ফলাফলের খাতায় সেটার ছাপ পড়েনি। টানা দুই ম্যাচ হেরে এখন পয়েন্ট তালিকায় নিচের দিকে আছে তাঁরা।

রোহিত শর্মা আছেন, তিলক ভার্মা আছেন; সাথে নতুন যুক্ত হয়েছেন রায়ান রিকেলটন, উইল জ্যাকস। তবু মুম্বাইয়ের টপ অর্ডার ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। চেন্নাই সুপার কিংস আর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে টপ অর্ডারের লড়াইতেই মূলত পিছিয়ে পড়েছিল দলটা।

প্রথম ম্যাচে বাঁ-হাতি পেসার খলিল আহমেদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন দুই ওপেনার রোহিত আর রিকেলটন; বোর্ডে ২১ রান জমা হতেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন দু’জনেই। পরের ম্যাচেও হুবহু একই চিত্র, কেবল খলিলের জায়গায় এসেছেন আরেক ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।

এদিন নিজের প্রথম ওভারেই হিটম্যানকে আউট করে ক্যালমা উদযাপন করেন সিরাজ; ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে প্রোটিয়া ব্যাটারকেও সাজঘরে ফেরান। মুম্বাই সেখানেই হেরে গিয়েছিল আসলে।

তিন নম্বরে উইল জ্যাকস এবং তিলক ভার্মা খেলেছেন, ইংলিশ তরুণ তো রানই করতে পারেননি আর তিলক রান করলেও সেটা ছিল কচ্ছপ গতিতে।

সবকিছু মিলিয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের অবস্থা এখন এলোমেলো। ঈশান কিষাণকে ছেড়ে দেয়াটাই কি তবে কাল হয়েছে তাঁদের জন্য? তাঁর অনুপস্থিতি ব্যাটিং লাইনআপে একটা শূন্যতা তৈরি করেছে – টিম ম্যানেজম্যান্টকে সে শূন্যতা পূরণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তা নাহলে এভাবেই প্রতিপক্ষের কোন এক বোলার শুরুর স্পেলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিবেন।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তবে এবারের দৃশ্যপট খানিকটা ভিন্ন। তারকাবহুল স্কোয়াড নিয়েও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এখন দেখার বিষয়, পরের ম্যাচগুলোতে এমন চিত্র বদলাতে পারে কি না দলটির ব্যাটাররা; বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটাররা।

Share via
Copy link