সেই একই দৃশ্যের মঞ্চায়ন, একই ফলাফল; শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। সাত ওভার বাকি থাকতেই আট উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। এমন পরাজয়ের কোন নতুন ব্যাখাই দিতে পারেননি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত।
অন্য অনেক দিনের মতই টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদেরই দায় দিয়েছেন তিনি; এই বাঁ-হাতি বলেছেন, ‘দেখেন, সবদিনই পরিকল্পনা থাকে ভাল কিছু করার। আমার মনে হয়, শুরুর ব্যাটারদের নিজেদের দায়িত্বটা বোঝা উচিত। তারা যদি প্রথম ১০-১৫ ওভার সতর্কতার সাথে খেলতে পারে, তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য অবশ্য কোন কিছুকে দায়ী করেননি শান্ত। তাঁর মতে, উইকেট খুব ভাল ছিল, ব্যাটাররাই ভাল পারফর্ম করতে পারেনি।
গত তিন ম্যাচেই ব্যাটারদের পজিশন নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু সেই কারণ জানা নেই স্বয়ং শান্তেরও। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ম্যাচ খেলি সবাই জানি কে কোথায় ব্যাট করব। ম্যাচের মধ্যে পজিশন অদল বদলের কারণ কোচ আর ক্যাপ্টেন ভাল বলতে পারবে।’
তবে এই পরিবর্তনের ব্যাপারে সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত বলেই ধারণা এই তারকার। তিনি বলেন, ‘টপ লেভেলে খেলতে সব জায়গায় ব্যাটিং করতে হয়। এই ফ্লেক্সিবিলিটি সবার থাকা উচিত। তাই আমি মনে করি এটা নিয়ে এমন সমস্যা নয়।’
অবশ্য ম্যাচ শেষে দুই দলের অধিনায়কের সাংবাদিকদের সামনে এসে কথা বলার। যদিও টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আসেননি এদিন, শান্তকে তাই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সাকিবকে নিয়ে। এই ব্যাটার বলেন যে, ‘সাকিব ভাই স্ক্যান করাতে গেছেন, এতোটুকুই জানি।’
মূলত ব্যাটিংয়ের সময় সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পায়ে চোট পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেই চোট সাথে নিয়েই বোলিং করেছেন ঠিকই, তবে চলাফেরায় অস্বস্তি টের পাওয়া গিয়েছিল। সেজন্যই ম্যাচ শেষে স্ক্যান করতে গিয়েছেন এই তারকা।
পরপর দুইটি অসহায় আত্মসমর্পণ, দলের অবস্থা এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতই। তবে এই জায়গা থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব এমনই বিশ্বাস নাজমুল শান্তের। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এখান থেকেও কামব্যাক করা সম্ভব।’
কিন্তু সেজন্য ব্যাটারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে বলেও মেনে নেন এই ক্রিকেটার। তাঁর মতে, ‘আমাদের ব্যাটিংটা ভাল হচ্ছে না। আমরা যদি দায়িত্ব নিয়ে ভাল একটা স্কোর এনে দিতে পারি বোলারদের, সেজন্য প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’
যদিও সেমিফাইনালের স্বপ্ন এখনই অবাস্তব ভাবতে চান না বাংলাদেশের ‘নাম্বার থ্রি’। একটা ভাল ম্যাচ দলকে ট্র্যাকে ফেরাবে বলেই বিশ্বাস তাঁর।