ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এই জয়ের ফলে এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
নাঈম হাসান ও মনির হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ম্যাচের মতো আজও সহজ লক্ষ্য পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তবে ১২০ রানের সহজ লক্ষ্য পেলেও ম্যাচটা সহজে জিততে পারেনি প্রাইম ব্যাংক।
মাত্র ৮৯ রানে ৭ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তখনও ৩ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। দারুণ ব্যাটিং করে শেষের সমীকরণ মিলিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রাকিবুল হাসান ও নাঈম হাসান।
তবে ইনিংসের শুরুতে সহজ জয়ের পথেই ছিল প্রাইম ব্যাংক। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৯ রানে এনামুল হক বিজয় ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদারের ৫২ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় প্রাইম ব্যাংক।
কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকা তামিম ইকবাল রান আউটের ফাঁদে পড়ার পর পথ হারায় প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। ২৭ বলে ৩২ রান করে তামিম ফিরে যাওয়ার পর ১৫ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান রনি তালুকদারও।
এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর অস্টম উইকেট জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাঈম রাকিবুল। নাঈম ১৬ বলে ১৮ রান ও রাকিবুল ৩৪ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শাইনপুকুরের পক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেন তানভির ইসলাম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারুণ্য নির্ভর শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ভুল করেননি সেটাই প্রমাণ করেন নাহিদুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও মনির হোসেন।
এই তিন জনের বোলিং তোপে মাত্র ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শাইনপুকুর। এরপর রবিউল হকের ১৩ বলে ১৬ রানে ভর করে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে শাইনপুকুর।
এছাড়া দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন তৌহিদ হৃদয়।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন নাঈম হাসান। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার। এছাড়া মনির হোসেন দুটি এবং নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট শিকার করেন।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ১১৯/১০ (ওভার: ২০; সাব্বির- ১৫, তানজিদ- ২১, রবিউল- ১৮, তৌহিদ- ২৯, রবিউল- ১৬*) (নাঈম- ৪-০-২৪-৩, মনির- ৪-০-১৫-২, নাহিদুল- ৪-০-২২-১, শরিফুল- ৪-০-২৭-১, মুস্তাফিজুর- ৪-০-২৫-১)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ১২০/৭ (ওভার: ১৯.৩; তামিম- ৩২, বিজয়- ৫, রনি- ২৬, মিথুন- ৬, রাকিবুল- ১৮*, শরিফুল- ১২, নাঈম- ১৮*) (তানভির- ৪-০-১২-৩)
ফলাফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩ উইকেটে জয়ী।