ভারত তার প্রিয় প্রতিপক্ষ। এ বিষয়ে কোন প্রকার দ্বিধার অবকাশ নেই। যখনই প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পেয়েছেন ট্রাভিস হেড, তখনই জ্বলে উঠেছে তার ব্যাট। ব্যতিক্রম ঘটেনি ব্রিসবেন টেস্টেও। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েছেন বা-হাতি এই অজি ব্যাটার। চলতি সিরিজে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকালেন ট্রাভিস হেড।
বৃষ্টির বাগড়ায় প্রথম দিনের খেলা ঠিকঠাক মাঠেই গড়ায়নি। মোটে ১৩ ওভারের মত খেলা হয়েছিল প্রথম দিন। দ্বিতীয় দিনের সকাল বেলায় অজিদের ব্যাটিং দূর্গে হানা দেয় ভারতীয় পেসাররা। নিজেদের পাতা সবুজ ফাঁদে যেন খোদ অস্ট্রেলিয়াই পড়েছে। সাত বলের ব্যবধানে দুই উইকেটের পতন ঘটে। তৃতীয় উইকেট পতনে একটু কালক্ষেপন হয় বটে। কিন্তু এরপর ট্রাভিস হেড নামক দূর্গ দাঁড়িয়ে যায় ভারতের বিপক্ষে।
অ্যাডেলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে একা হেডই যেন রীতিমত বিরক্তির কারণ হয়েছিলেন ভারতীয়দের জন্যে। দ্বিতীয় টেস্টে এদফা সঙ্গী হিসেবে স্টিভেন স্মিথও ফিরেছেন। বহুদিন বাদে ব্যাটে রান পেয়েছেন বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার। দুইজনে মিলে ভারতীয় পেসারদের আগ্রাসন সামলে নিয়েছেন অনায়াসে।
এই দুই জনের জুটিতে ট্রাভিস বরাবরই থেকেছেন আগ্রাসী। রান তুলে প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কাজটা দারুণভাবে করতে জানেন তিনি। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে বড্ড বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। টেস্ট ক্রিকেটে নয়টি সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটিই তিনি করেছেন ভারতের বিপক্ষে। এছাড়াও চারটি অর্ধশতক রয়েছে তার।
শুধু কি তাই? ভারতের বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়েই চলছে। এমনকি এই ব্রিসবেনে শেষ তিন টেস্ট ইনিংসে শূন্যরানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ট্রাভিস হেড। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ঠিকই ফিরেছেন রানের ধারায়। তাকে যেন আউট করা দায়।
এতেই অন্তত বোঝা যায় ভারতকে ঠিক কতটা পছন্দ করেন হেড। কিন্তু টানা দুইটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে যথারীতি ভারতের মাথাব্যথা বাড়িয়েছেন হেড।