২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের মাটি ট্রাভিস হেডের কাছে একান্ত প্রিয় হয়ে উঠেছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও তাই নিয়ম করে ঝড় তুলছেন তিনি। সব দলই বোধহয় মেনে নিয়েছে তাঁর ব্যাটে ঝড় উঠবে আর সেটা চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে। কেননা তাঁকে প্রতিরোধ করার উপায় জানা নেই কারোরই, প্রায় প্রতি ম্যাচেই বোলারদের ওপর তাই টর্নেডো সৃষ্টি হয়।
সবশেষ হেড নামক টর্নেডোর অভিজ্ঞতা হয়েছে লখনৌর সুপার জায়ান্টসের। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে মাঝারি মানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল তাঁরা, তাই হয়তো ভেবেছিল অজি ব্যাটারের আগ্রাসী হওয়ার কারণ থাকবে না। কিন্তু সব ধারণা ভুল প্রমাণ করে বরাবরের মতই অতি আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তিনি।
এদিন স্রেফ ৩০ বল মোকাবিলা করার সুযোগ পেয়েছিলেন এই ওপেনার, তাতেই করেছেন ৮৯ রান। সমান আটটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি, তাঁর এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণেই ১০ উইকেট আর ৬২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে হায়দ্রাবাদ।
ব্যক্তিগত রানের খাতা চার মেরেই খুলেছিলেন হেড, এরপর তৃতীয় ওভারে দেখান নিজের আসল রূপ। গৌতমের ছয় বল থেকেই ২২ রান আদায় করেন তিনি, খানিক সময় পর নাভিন উল হকের পাঁচ বল থেকেই আবার একই পরিমাণ রান তোলেন। ততক্ষণে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল তাঁর, সেজন্য মাত্র ১৮ বল অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে।
হাফসেঞ্চুরির পরও আক্রমণাত্মক মানসিকতায় কোন আপোষ করেননি এই তারকা। একের পর এক বাউন্ডারির মেরে ক্রমাগত লক্ষ্যের কাছে পৌছে দেন দলকে; অন্যপ্রান্তে অভিষেক শর্মা তাঁর কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছিলেন। এই তরুণ ব্যাটার শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছিলেন ২৮ বলে ৭৫ রান।
চলতি আইপিএলে অস্ট্রেলিয়ান হার্ডহিটার যা করছেন সেটা নেহাৎ মানবিক কিছু নয়। তাই তো এবারের আসরে বোলাররা তাঁকে মহাআতঙ্ক ভাবলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এখন দেখার বিষয়, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এই ছন্দ ধরে রাখতে পারেন কি না তিনি।