দুই উইকেট। মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটার। রাচিন রবীন্দ্র আর কেন উইলিয়ামসন,নিউজিল্যান্ডের আশা, তাদের মর্যাদা। দু’জনকেই ফেরালেন কুলদ্বীপ যাদব। বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার। যার বিপক্ষে কোন জবাব ছিল না নিউজিল্যান্ডের।
যখন নিউজিল্যান্ডের রান বাড়ছিল খুব দারুণ গতিতে, তখনই কুলদ্বীপ যাদব এসে ছিটকে দিলেন সব! পাওয়ার প্লের মধ্যে যখন সব কিছু ঠিকঠাক ছিল, তখনই কুলদ্বীপের স্পিনে এল সুনির্দিষ্ট বিপদ। সেই বিপদে ছাড়খাড় হল নিউজিল্যান্ড। আর সেটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্প্রভ ছিলেন। ফাইনাল না খেললেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কিন্তু, দুবাইয়ে জ্বলে উঠলেন টুর্নামেন্টের একদম শেষ ম্যাচে। ফাইনাল ম্যাচে, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান তিনি রেখেছেন।
মাত্র ছয় রানে দুটি উইকেট। রবীন্দ্র আর উইলিয়ামসন। কুলদ্বীপের হাতেই ফিরলেন দু’জন, এই দুইজনে ভর করেই ফাইনাল পর্যন্ত আসে নিউজিল্যান্ড। একে একে ভেঙে গেল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পরই নিউজিল্যান্ডের বড় রান করার স্বপ্ন শেষ।
টুর্নামেন্টে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। কিন্তু ফাইনালে যেন সব বদলে গেল। তাঁর স্পিনের বিষে ছড়িয়ে পড়ল ভয়। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা অসহায়। কোথাও কোনো আশাও নেই।
২৫১ রান—এটাই নিউজিল্যান্ডের সম্বল। যেখানে ৩০০ রানের স্বপ্ন ছিল। উইকেটে তেমন কোনো ভীতি ছিল না। ব্যাটাররা সজাগ ছিলেন। কিন্তু কুলদ্বীপ এসে সব এলোমেলো করে দিলেন। ১০ ওভারে রান গুণেছেন মাত্র ৪০ টি। সাথে স্বপ্নের মত এক জোড়া উইকেট তো আছেই!