তুষার ঝড়ের পরে ফিজ ম্যাজিক, বিধ্বস্ত হায়দ্রাবাদ

ব্যাটিং বান্ধব টুর্নামেন্ট হয়ে উঠেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল); প্রতি ম্যাচেই ছড়ি ঘুরাচ্ছেন ব্যাটাররা। তাই তো তরুণদের ব্যাটিং প্রতিভাটাই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে, সেই তুলনায় বোলারদের জন্য লাইমলাইটে আসা খানিকটা কঠিনই বটে। সেটি বোধহয় পছন্দ হয়নি তুষার দেশপান্ডের; সেজন্য ক্ষোভ মিটিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে।

২০২৩ সালের আইপিএলে এই বোলারকে দলে নিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সেবার উইকেট শিকারে নিজের মুন্সিয়ানা দেখালেও দু’হাতে রান খরচ করেছিলেন তিনি। কিন্তু চলতি আসরে তাঁকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন রূপে; উইকেট তোলার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ব্যাটারদের ওপর চাপ বাড়াতে শিখেছেন তিনি।

এইতো হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে তিন ওভার বোলিং করেছেন এই পেসার, মাত্র ২৭ রানের বিনিময়ে ঝুলিতে পুরেছেন চার চারটি উইকেট। এবারের আইপিএলে প্রতিপক্ষের আতঙ্ক হয়ে উঠা ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মাকে তিনিই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছিলেন। বলতে গেলে, দলটির টপ অর্ডার একাই ধ্বসে পড়েছিল তাঁর কল্যাণে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁরা, ৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে চেন্নাইয়ের কাছে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই দেশপান্ডে আউট করেছিলেন হেডকে, পরের বলেই আবার আনমলপ্রীত সিংকে সাজ ঘরের পথ দেখান। আরেক ইনফর্ম ব্যাটার অভিষেক সেই ওভারে বেঁচে গেলেও পরের ওভারে ঠিকই ধরা পড়েন তাঁর ডেলিভারিতে – সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লের মাঝেই তিনজন ব্যাটারের পতন ঘটানোর স্বাদ পান তিনি।

এ ম্যাচের আগে অবশ্য নতুন বলে বেহাল দশা ছিল এই তারকার। ১৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাওয়ার প্লেতে স্রেফ এক উইকেট পেয়েছিলেন, অথচ প্যাট কামিন্সদের বিপক্ষে দুই ওভারেই তিন উইকেট পেয়েছিলেন। অবশ্য তাতেও মন ভরেনি তাঁর; ডেথে বল করতে এসে স্বয়ং অধিনায়ক কামিন্সের উইকেট শিকার করেন তিনি।

অন্যদিকে দুই উইকেট পেয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় সেরা বোলার বনে গিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। গত কয়েক ম্যাচের অফ ফর্ম কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছেন তিনি। শুরুর দিকে কিপ্টে বোলিংয়ের পর শেষ ওভারে জোড়া আঘাত হেনেছিলেন সফরকারীদের শিবিরে। এর মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় আবারো উপরের দিকে উঠে আসলেন টাইগার তারকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link