হাসানই হাসালেন। আবার কাঁদালেনও। কারণ, তাঁর বোলিং পারফরম্যান্সই বাংলাদেশের পরিকল্পনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল। বলতে চাইল, একটা পেসার নিয়ে খেলাটা ছিল বাংলাদেশ দলের বিরাট ভুল সিদ্ধান্ত। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তকে অমূলক প্রমাণ করে টানা দুই বলে উইকেট পেলেন হাসান মাহমুদ।
টেস্টে দেশের সেরা পেসার যে তিনিই সেটা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল। আগের দিনে তাও বাংলাদেশ বোলিংয়ে উইকেট পাচ্ছিল, দ্বিতীয় দিন সকালে সেটাও হচ্ছিল না একদম। কাইল ভেরেইন ও উইয়ান মুল্ডারের ১১৯ রানের জুটি ভাঙতে পারলেন হাসান মাহমুদ। পরের বলেই বোল্ড করেন কেশব মহারাজকে। সেখানে কিছুটা হলেও ম্যাচে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখে বাংলাদেশ। ম্যাচে বাঁচতে হলে যে, ফাস্ট বোলার দরকার, এই সাধারণ বোধটা কবে হবে বাংলাদেশের?
ওভার দু’য়েক আগেই বলের আকার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রিঙের ভেতর দিয়ে বল গলিয়ে দেখে আম্পায়াররা দেখল, বলের আকারে কোনো সমস্যা হয়নি। বোঝা গেল, বাংলাদেশ যে সকাল থেকে উইকেট পাচ্ছিল না, এর জন্য বলের আকার নয় দায়ী মূলত বাংলাদেশের পরিকল্পনা।
আর পরিকল্পনার গলদটা হল, দেশের মাটিতে পেসারদের প্রতি অনীহা। সেজন্যই বরাবরই মিরপুরে বাংলাদেশ খেলে এক পেসার নিয়ে খেলে। অন্যসময় সাকিব আল হাসান থাকলে তাও একজন বাড়তি বোলার থাকত। এবার তিনি নেই, ফলে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে মাত্র চার বোলার নিয়ে।
এর মধ্যে পেসার মাত্র একজন। সেটা ওই হাসান মাহমুদ নিজেই। তবে, মিরপুরের সকালে হাসানের পারফরম্যান্স বলছে আরেকজন পেসার থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামানো যেত আরও আগে।