গৌরবময় অনিশ্চয়তার চমক

গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটের প্রতিটি মুহূর্ত অনিশ্চয়তায় ভরপুর।

একটা ম্যাচে ঠিক কী হতে যাচ্ছে কিংবা ঠিক পরের ওভার কিংবা বলটাতেই ঠিক কী হতে যাচ্ছে, সেটাও আগে থেকে বলা সম্ভব না। ক্রিকেট মাঠে এমন অনেক কীর্তি আমরা দেখি যেগুলো হয়তো কেউ কখনো ভাবতেই পারেনি। তবে ক্রিকেটের বাইশ গজে সেগুলো সম্ভব হয়।

এই খেলাটার প্রতিটা ম্যাচে, প্রতিটা ওভারেই থাকতে পারে কোন অজানা রহস্য। তাই তো ক্রিকেট ভক্তরা টানা পাঁচ দিন বসে টেস্ট ক্রিকেট দেখে। তবে এই তালিকায় আমরা দেখব ক্রিকেটের এমনই অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা।

  • অস্ট্রেলিয়ার ভরাডুবি

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালি দলগুলোর মধ্যে একটি অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের যেকোনো পান্তে যেকোনো দলই তাঁদের সমীহ করতে বাধ্য। তবে সম্প্রতি বাংলদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ঘটেছে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

অজিরা তাঁদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই ম্যাচে। মাত্র ১৩.৪ ওভারেই ৬২ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া দল। এছাড়া ওই সিরিজে র‍্যাংকিং এর দুর্বল সারির দল বাংলাদেশের কাছে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে অস্ট্রেলিয়া। মিরপুরের স্লো পিচে প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশের বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে অজিরা।

  • কেনিয়ার সেমি ফাইনাল কাব্য

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকেই মূলত বিশ্বক্রিকেটের শক্তিশালি দল ভাবা হয়। তবে চারটি টেস্ট খেলুড়ে দল কখনো ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালই খেলতে পারেনি। ওয়ানডে ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তি বাংলাদেশরও এখনো এই অর্জন নেই। যদিও দেশটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনাল খেলেছিল।

এছাড়া জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড কিংবা আফগানিস্তানও খেলেনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। তবে আইসিসির সহযোগী দেশ কেনিয়া ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল খেলেছিল। শেষে ভারতের কাছে হেরে তাঁদের সেই যাত্রা শেষ হয়।

  • বোলার শচীন টেন্ডুলকার

মজার বিষয় হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকার শোয়েব আখতারের চেয়ে বেশি বল করেছেন। ঠিকই শুনেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বলছি।

ওয়ানডে ক্রিকেটে পার্টটাইম বোলার শচীন মোট ৮০৫৪ টি বল করেছেন। ওদিকে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস করেছেন ৭৭৬৪ টি বল। শোয়েব আখতারের ঝুলিতে সবমিলিয়ে আছে ২৪৭ ওয়ানডে উইকেট। ওদিকে শচীনের ঝুলিতেও আছে ১৫৪ উইকেট।

  • অজিত আগারকারের ব্যাটিং ঝড়

ভারতের হয়ে বিশ্বের অনেক নামী দামী ব্যাটসম্যানকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বীরেন্দ্র শেবাগ। রোহিত শর্মা কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনির মত ঝড়ো গতির ব্যাটসম্যানও খেলেছেন ভারতের হয়ে।

তবে এই ফরম্যাটে ভারতের হয়ে সবচেয়ে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড বোলিং অলরাউন্ডার অজিত আগারকারের দখলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০০ সালে রাজকোটে ৬৭ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি এসেছিল মাত্র ২১ বলে। এটিই এখন পর্যন্ত ভারতের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি।

  • মিসবাহ’র দ্রুততম সেঞ্চুরি

এই মুহুর্তে পাকিস্তানের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে মিসবাহ উল হক। রক্ষনাত্মক ব্যাটিং এর জন্য পরিচিত হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান।

মাত্র ৫৬ বলেই টেস্টের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। এটিই ছিল তখন বিশ্বের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি। অবশ্য দ্রুতই তাঁর রেকর্ড ভেঙে ফেলে ব্র্যন্ডন ম্যাককালাম। তবে এশিয়ার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখনো দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক মিসবাহ।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link