প্রায় এক যুগ ধরে আলোচনাটা চলছে। সাকিব আল হাসান কী এই সময়ে ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা অলরাউন্ডার কিনা। এই লম্বা সময়ে সাকিবের সাথে আলোচনায় আরো বেশ কিছু নাম এসেছে। তবে সাকিব কখনো আলোচনাটা থেকে দূরে সরে যাননি। ব্যাটিং, বোলিং ও ক্রিকেট মেধা মিলে সাকিব পুরো ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
ফলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সবসময়ই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলো আগ্রহ থাকে। সবচেয়ে জমজমাট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তাঁকে নিয়ে দলগুলো কাড়াকাড়ি করে। এবারো আইপিএলের নিলামের দিকে দৃষ্টি ছিল সাকিব ভক্তদের। কেননা ব্যাট, বল মিলে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই অলরাউন্ডার।
ব্যাট, বল হাতে সাকিবের সেরা নৈপুন্যটা দেখা গিয়েছিল ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেই আসরে অলরাউন্ডার সাকিব নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। একইরকম ফর্মে আছেন সাকিব এখনো। বিপিএলে ব্যাট, বল হাতে সবাইকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। টানা পাঁচ ম্যাচে বরিশালের হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
ওদিকে আইপিএলের নিলামে সাকিবের ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রূপি। এটিই এই মেগা ইভেন্টের সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য। গতবার সাকিবকে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিয়েছিল ৩ কোটি ২০ লাখ রূপিতে। যদিও গতবার আইপিএলে সাকিবের সময়টা ভালো কাটেনি। ৮ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন মাত্র ৪ উইকেট। এছাড়া ব্যাট হাতে করেছিলেন মাত্র ৪৭ রান।
তবে আজকের নিলামে অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে সাকিবের নাম উঠলেও কেউ তাঁকে কেনার আগ্রহ দেখায়নি। ফলে আপাতত অবিক্রিতই আছেন এই অলরাউন্ডার। হয়তো গতবছররের পারফর্মেন্সের কারণেই সাকিবকে ক্রু কিনতে চায়নি। তবে আবার নিলামে উঠানো হবে এই ক্রিকেটারকে।
ওদিকে বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান গতবার ছিলেন দারুণ ফর্মে। যদিও সেবার মাত্র ১ কোটি রূপিতে মুস্তাফিজকে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে বল হাতে ১৪ ম্যাচ খেলে ফিজ নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। তবে এবার মুস্তাফিজের ভিত্তিমূল্যও ঠিক করা হয়েছে ২ কোটি রূপি।
এছাড়া ৫০ লাখ রূপি ভিত্তিমূল্যে নিলামে আছেন বাংলাদেশের আরো তিন ক্রিকেটার। তাঁরা হলেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও লিটন দাস। পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের নতুন সেনশেসন শরিফুল। অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করছেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদও নিজেকে নিয়ে এসেছেন নতুন রূপে। বল হাতে কাটাচ্ছেন দারুণ সময়। আর টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ ব্যাটিং করার পর সেই ফর্ম বিপিএলেও নিয়ে এসেছেন লিটন দাস।