যদি আপনি ভেবে থাকেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রানের লড়াই দেখবেন তবে আপনি ভুল। লড়াইটা হবে ধৈর্য্যের, লড়াইটা হবে সঠিক পরিকল্পনার, লড়াইটা হবে স্পিনারদের। কেননা ভারত নিউজিল্যান্ড ফাইনাল হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টে আগেই ব্যবহৃত এক উইকেটে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবরই স্পিনারদের সহয়তা দিয়ে আসছে। তাইতো ভারত চারজন স্পিনার নিয়ে খেলেছে নিজেদের শেষ দুইটি ম্যাচ। এছাড়াও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনজন স্পিনার নিয়ে খেলেছিল ভারত। সেদিন পাকিস্তান মোটে ২৪১ রানের অলআউট হয়ে গিয়েছিল।
কুলদ্বীপ যাদব তিন উইকেট নিয়েছিলেন ৪০ রানের বিনিময়ে। রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেল দুইটি করে উইকেট বাগিয়ে নিয়েছিলেন। মোট ২৬ ওভার সেদিন করেছিল ভারতীয় স্পিনাররা। ভাবছেন, এতসব বলার কারণ কি? পাকিস্তানের ম্যাচের দিন ব্যবহৃত উইকেটেই আয়োজিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল।
সেই উইকেটটা বেশ মন্থর ছিল। খুব একটা ব্যতিক্রম হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। ফাইনালে তাই রান উৎসব হওয়ার কোন সুযোগ নেই। উইকেটটাতে খেলতে হবে ক্যালকুলেটিভ সব ইনিংস। স্পিনারদের সামলাতে হবে বেশ দেখেশুনে।
যদিও ভারতের জন্যে কাজটা তুলনামূলক সহজ। কেননা নিউজিল্যান্ডের একাদশে স্পিন বৈচিত্র্য তেমন একটা নেই। সবাই মূলত ফিঙ্গার স্পিনার।
কিন্তু ভারতের একাদশে দুইজন ফিঙ্গার স্পিনারের সাথে সাথে একজন চায়নাম্যান ও একজন রহস্যস্পিনার থাকবে তা প্রায় নিশ্চিত। এত বৈচিত্র্যময় স্পিন আক্রমণ সামলানো যেকোন ব্যাটিং ইউনিটের জন্যে বেশ দুর্বিষহ কাজ। নিউজিল্যান্ডের জন্যে তাই অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা।