স্পেনের এক নাইট ক্লাবে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতোমধ্যেই জেল বন্দি সাবেক বার্সেলোনা ও ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজ। কারাগারে বসেও একের পর এক দু:সংবাদ পেয়েই যাচ্ছেন তিনি। ধর্ষণের এই মামলার জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে জানা গেল, ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই তরুণীর বান্ধবীও আলভেজের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ওই তরুণীর সাথে দুই বান্ধবীই আদালতকে জানিয়েছেন দুইজনই আলভেজের অমন যৌনাচরণের শিকার হয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীর এক আত্মীয় ও এক বন্ধু তার পক্ষে আদালতে সাক্ষী দেবার সময়েই নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া এই যৌন হেনস্তার কথাও আদালতকে জানান। ধর্ষিত হওয়া ওই নারীকে সেই নাইট ক্লাবের বাথরুমে ধর্ষণ করেন আলভেজ। তার আগেই এই দুই নারীকেও যৌন হেনস্তা করেন আলভেজ।
ধর্ষিত হওয়া ওই দুই তরুণীর সঙ্গী দুইজনই নির্দিষ্ট ভাবে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির বর্ণনা দেন আদালতের কাছে। একজন জানান,আলভেজ নিজের হাত তার অনুমতি ব্যাতিত তার কোমড়ে রাখেন।
অপর নারী জানান, আলভেজ তার শরীরের গোপন জায়গা গুলোতে হাত দিচ্ছিলেন। এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই নারীকেই আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বললেও তাদের বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা কমে যেতে পারে এমন সম্ভাবনায় তারা অভিযোগ দায়ের করেননি।
নিজেদের দেয়া সাক্ষ্যতে এই দুই নারী জানান, সেদিনের ঘটনায় নাইট ক্লাবে তারা বেশ কয়েকজন তরুণ মিলে একটি টেবিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। পাশেই আলভেজ তাঁর বন্ধুদের সাথে মদ্যপান করছিলেন।
তখন ওই নাইটক্লাবের একজন ওয়েটার ওই নারীদের জানান, একজন ভদ্রলোক তাদেরকে প্রাইভেট জোনে মদ্যপানের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রথমে তারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেও পরে তারা রাজি হন। ওই প্রাইভেট এরিয়ার ভেতরেই অবস্থিত প্রাইভেট বাথরুমে ওই তরুণীকে নিয়ে ধর্ষণ করেন আলভেজ।
বাথরুমে ঢোকার প্রায় ১৫ মিনিট পর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসেন দানি আলভেজ। এরপর বের হন ধর্ষিত হওয়া ওই তরুণীও। বাথরুম থেকে বের হবার পরেই বান্ধবীদের কাছে সেই তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং জানান, আলভেজ তাকে আঘাত করেছে।
এরপর নাইটক্লাব থেকে বের হয়ে যাবার সময়ও নাইট ক্লাবের নিরাপত্তা রক্ষী সহ বাকি কর্মকর্তারাও সেই তরুণীকে লক্ষ্য করেন। আদালতের কাছে দেয়া সাক্ষ্যতেও সেদিনের ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হওয়া এই তরুণীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন তারা।
নাইটক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী জানান, নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের বর্ণনা দেবার সময়ও ওই তরুণী বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে কেউ বিশ্বাস করবে না।’
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জেরে ২০ জানুয়ারি থেকেই কারাবন্দি আছেন আলভেজ। প্রথমে তাঁর স্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়ালেও ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আলভেজের কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছেন তিনি।