ক্রীড়াঙ্গন যদি হয় বিস্তৃণ এক নীল আকাশ, তবে সেখানের দুই ধ্রুবতারা আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি ও ভারতের বিরাট কোহলি। নিজ নিজ অঙ্গনে এই দুইজনকে সর্বকালের সেরা বলে আখ্যায়িত করবেন যে কেউ। দুই ভিন্ন মেরুর দু’জন অবশ্য মিলেছেন এক মোহনায়।
অতৃপ্তির বিষাদের অনুভূতি তাদেরকে ছুঁয়েছে। কিন্তু অপ্রাপ্তির দীর্ঘশ্বাসের শেষটায় তাদের দু’জনের হাতে লেখা হয়েছে অর্জনের স্বর্ণালী অধ্যায়। ফুটবলের বিশালতার কাছে ক্রিকেট এক ক্ষুদ্র চড়ুই। তবুও এই উপমহাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে যতটুকু পূজনীয়, ঠিক তেমনি বিরাট পরম আরাধ্য শ্রদ্ধার পাত্র।
পরাজিত হতে হতে বিষাদের ভার কুঁজো হয়ে যাচ্ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সেখান থেকে তিনি অমরত্বের পথে হেটেছেন। আর্জেন্টিনার শত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিরোপা এনে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকা দু’বার জয়ের পর, বিশ্বকাপের শিরোপাতেও চুমু এঁকে দিয়েছেন লিওনেল মেসি।
বিরাটের ক্ষেত্রেও গল্পটা তেমনই। কিন্তু বিষাদের যন্ত্রনা তার ক্ষেত্রে ততটাও ছিল না তীব্র। একেবারে টগবগে তরুণ যখন বিরাট, তখনই জিতে নিয়েছিলেন ক্রিকেট দুনিয়ার ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বছর দুই বাদে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন আগ্রাসনের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠা বিরাট কোহলি। ২০২৫ এ এসে সেই শিরোপা দ্বিতীয় দফা জিতে নিলেন বিরাট কোহলি।
আরও একটি করে শিরোপায় এই দুইজনের হাতের ছোঁয়া রয়েছে। সেদিক থেকে অবশ্য বিরাটের অর্জন ভারি। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন তিনি। সামনে থেকে দলের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সেদিক থেকে মেসির জেতা ফিনালিসিমার গুরুত্ব ঠিক কতটুকু- সেটা পরিমাপের যন্ত্র এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।
তবুও আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চে মেসির দখলে রয়েছে পাঁচখানা শিরোপা। সমপরিমাণ শিরোপা জয়ে স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি, তবে সেটা ক্রিকেটের দুনিয়ায়। তারা যদি সর্বকালের সেরা না হন, তবে আর কে হবেন?