বিরাট, আপনি ফিরবেন কবে!

প্রায় একই ঘরনার বলে বিরাট কোহলি হারিস রউফকে হাকিয়েছিলেন ছক্কা। কিন্তু রিস টপলির বলে তিনি হয়ে গেলেন বোল্ড। এটা এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির নিয়মিত চিত্র। ২০০৮ পরবর্তী সময়ে যেকোন বৈশ্বিক আসরে বিরাট কোহলি ছিলেন ভারতের অন্যতম আস্থাভাজন। কিন্তু এবারের ভারত দলে বিরাট কোহলি রীতিমত একজন ছায়ামানব।

এর আগে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও বিরাট হাকিয়েছিলেন অর্ধশতক। সে ম্যাচটি যদিও ভারত হেরেছিল। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে কোহলিই ছিলেন ভারতের পরিকল্পনার মূল কেন্দ্র। সেই কোহলি এখন যে পরিকল্পনার পরিধির বাইরেই করছেন অবস্থান।

গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই তো তিনি ফর্মহীনতায় ভুগছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে। কিন্তু হুট করেই পাহাড় চূড়ায় থাকা বিরাট পড়ে গেলেন খাদের কিনারায়। যে কিনারা থেকে তাকে টেনে তোলা দায়। যদিনা বিরাট নিজে অতিমানবীয় কিছু একটা করে ফেলেন।

কিন্তু সেটা তিনি আর কবে করবেন? সেমিফাইনেলের মঞ্চেও তিনি হয়েছেন ব্যর্থ। শুরুটা করেছিলেন ভালই। আউট হওয়ার আগে রিস টপলিকে কাও কর্ণার দিয়ে ছক্কা হাকিয়েছিলেন। কিন্তু এক বল পরেই অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই উইকেট খুইয়েছেন। তিনি হয়ত ভেবেছিলেন দিনটা তার হতে চলেছে। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা তার পক্ষে ছিল না এদিনও।

মাত্র ৯ রান করেই তিনি বিদায় নিয়েছেন বাইশ গজ থেকে। যার নামের পাশে রয়েছে অগণিত রান। যিনি একটা সময়ে বল-কয়ে সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, সেই বিরাটই এখন ক্রিকেট মাঠে হাঁসফাঁস করছেন। কি যন্ত্রণাদায়ক এক সময় তিনি পার করছেন! তা অবশ্য দলের জন্যেও যন্ত্রনাদায়ক। যদিও দলের বাকি ব্যাটাররা বিরাটের অভাবটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু স্বরুপের বিরাটের সাথে, দলের বাকি ব্যাটারদের যুগলবন্দী হলে সম্ভবত ভারত আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারত। কিন্তু তেমনটি আর হচ্ছে না। ওপেনিংয়ে নামা বিরাট কোহলির জন্যে উলটো পুরো দল পড়ে যাচ্ছে চাপে। সেই চাপ না শেষ অবধি আবার শিরোপার আক্ষেপ আর অপেক্ষা বাড়িয়ে তোলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link